পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফরওয়ার্ড ব্লক কেন \ আনতে না পারে। ততদিন বামশক্তির অব্যাহত বৃদ্ধি প্রয়োজন । যখন এই লক্ষো পৌছনো যাবে এবং বামপন্থী শক্তির ( তখন যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হবে) সকল সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে, তখন ইতিহাসের পুনরাবর্তন ঘটবে, নতুন এক বামপন্থী দলের উদ্ভব হবে-যারা শেষপৰ্যন্ত বিগত দিনের বামপন্থীদের উৎখাত করবে। ১৯২০-এর গান্ধীবাদীরা কংগ্রেসের বামপন্থী দল ছিল, কিন্তু তাই থেকে এই বোঝায় না, তারা আজকেরও বামপন্থী ! কাল যারা বামপন্থী ছিল তারা সব সময়ে না হলেও, প্রায়ই আগামীকালের দক্ষিণপন্থী হয়ে যায়। আজকের কংগ্রেসের মধ্যে বাম ও দক্ষিণের মধ্যে কোন প্ৰভেদ থাকা উচিত নয় এই কথা বলা এবং কংগ্রেস সমগ্রভাবে বামপন্থী এই রকম যুক্তি দেখানো-অৰ্থহীন প্ৰলাপ ছাড়া কিছু নয়। যতই অগ্ৰীতিকর হোক না। কেন যা বাস্তব ঘটনা তা আমাদের মেনে নেবার সময় হয়েছে। ১৯৩৬ এবং ১৯৩৮-এর মধ্যে দক্ষিণপন্থীদের সঙ্গে সহযোগিতার ফলে কংগ্রেসের বামপন্থী শক্তি বেড়ে ওঠে এবং বিকাশলাভ করে। ১৯৩৮-এর সেপ্টেম্বরে দক্ষিণপন্থীদের তরফ থেকে প্রথম ধুয়ো তোলা হয় যে, বামপন্থীদের সঙ্গে সহযোগিতা আর সম্ভব নয় এবং তারা এত হৈহল্লা করছে ও এমন ঝঞ্চাট করছে যে তাদের সঙ্গে তাত মেলানো আর চলে না । এই নতুন ধুয়ো শেষপৰ্যন্ত চরমে পৌছয়। ১৯৩৯-এ, যখন দক্ষিণপন্থীরা বামপন্থীদের সঙ্গে সহযোগিতা বন্ধ করার সুচিন্তিত সদ্ধান্ত নেয় । দক্ষিণপন্থীরা যে বর্তমানে সমমতাবলম্বী কেবিনেট বা ওয়ার্কিং কমিটির জন্যে জিদ করে চলেছে তার পিছনে আর কী গভীর তাৎপৰ্য থাকতে পারে ? তিন বছর তারা বামপন্থীদের সঙ্গে সহযোগিতা করে এসেছে, কিন্তু আর তাঁরা তা পারছে না । কেন ? যেহেতু কংগ্রেসের • ভিতরে বামপন্থীরা ক্ৰমে শক্তিশালী হয়ে উঠছে দখে দক্ষিণপন্থীদের আর নিবীিকার থাকা সম্ভব নয়। নতুন কেবিনেটের বা ওয়ার্কিং কমিটির এই সমস্যা সমাধান করার জন্যে ১৯৩৯-র ২৯শে এপ্রিল কলকাতায় যখন নিখিল ভাত্নত কংগ্রেস ক্ষমিটির বৈঠক বসে তখন দেখা গেল বামপন্থীরা দক্ষিণপন্থীদের সঙ্গে