পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাগপুর অভিভাষণ বোঝা যাচ্ছে । সে চিত্রে তখনই যদি নিরাশার অন্ধকার থাকে, তার পর থেকে অন্ধকার আরও ঘনীভূত হয়েছে। আজ আশার সম্ভাবনা নিঃসন্দেহে ক্ষীণ । এবং এই যুদ্ধ সর্বাত্মক যুদ্ধ এই কথা মনে রাখলে আমরা বুঝতে পারি যার হারছে তারা কী অসম্ভব পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। আমরা মেনে নিতে রাজী আছি যে, মসিয়া রোনীর “সংগ্রাম তীব্রতর করার• • •এবং হাল ছেড়ে না দেবার” সোচ্চার প্রস্তাব সাহস ও সংকল্পব্যঞ্জক এবং তঁর কথাগুলো শূন্যগর্ভ বাগাড়ম্বর নয়। এসব সত্ত্বেও তঁর কথায় প্রতায় হয় না। যখন তিনি বলেন : “আমরা আমাদের প্রদেশগুলির মধ্যে কোন একটিতে নিজেদের আবদ্ধ করে। রাখব। এবং যদি সেখান থেকে বিতাড়িত হই। আমরা উত্তর আফ্রিকায় চলে যাব, এবং প্রয়োজন হলে আমেরিকায় আমাদের অধিকারভুক্ত যে সব জায়গা আছে সেখানে যাব ।” যুদ্ধে জয়লাভ করতে হলে নিশ্চয় এ উপায় খুব প্ৰশস্ত নয়। মিত্ৰপক্ষ ইওরোপে যদি তিষ্ঠোবার ঠাই না পায়, আফ্রিকা থেকে, এশিয়া থেকে, এমন কি আমেরিকা থেকেও লড়াই চালানো তাদের পক্ষে সম্ভব ; কিন্তু তাদের চরম লক্ষ্য যদি হয় যুদ্ধজয়, তাহলে তা অনর্থক । যুদ্ধ যেভাবে বিস্তৃত হয়েছে তার কঠিন বাস্তব দিকগুলো যতক্ষণ পৰ্যন্ত স্বচ্ছ আলোয় আমাদের কাছে সুস্পষ্ট হয়ে না। উঠছে, তাদের পরীক্ষা করে দেখার সকল অধিকার আজ আমাদের আছে। ফরাসী ও ইংরেজ জননেতারা খোলা মনে সব কথা বলেছেন ; আমাদেরও নিজেদের কাছে খোলাখুলিভাবে সব বলতে হবে। মিত্ৰশক্তির ক্রমাগত পরাজয়ের কারণ আজ বোধ হয় তাদের রাষ্ট্রব্যবস্থার মধ্যে কোথাও নিহিত আছে। যতদূর বিশ্বাস মিস্টার ক্লিমেণ্ট অ্যাটলি বিরোধীীপক্ষের আসন থেকে তঁর শেষবারের ভাষণে বলেছিলেন, এই ব্যবস্থা সঙ্কটের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে। যে ব্যবস্থায় দাসত্ব এবং স্বাধীনতা পাশাপাশি অবস্থান করে সেই ব্যবস্থার