পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার জীবনের বাণী নেতাজীর ১৯৪০ সালে জেলে থাকাকালীন কাগজপত্রেব মধ্যে দর্শনবিষয়ক এই লেখাটি পাওয়া যায়। 'এটি এই প্ৰথম প্ৰকাশ কবা হচ্ছে। লেখাটি ‘প্ৰেবিত হয় নাই’ চিহ্নিত ছিল, স্বভাবত তার অর্থ এটি সরকারের কাছে পাঠানো হয়নি। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এটি তিনি লেখেন। ১৯৪০ সালের ২১এ নভেম্বর, যে দিন তিনি কলিকাতা প্রেসিডেন্সি জেলে বিনা বিচারে বেআইনী ভাবে তেঁাকে আটক রাখাব প্ৰতিবাদে আমৰণ অনশন শুরু করেন । শ, ক, ব, । চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেছে। পিছু ফেরার আর উপায় নেই । আজ সকাল থেকে আমার অনশন শুরু হল । বাংল। সরকারকে এর আগেই আমি একটা চিঠি লিখে পাঠিয়েছি তাতে আমার রাজনৈতিক প্রতীতি বিবুত আছে। এখন আমি যা জানাতে চাই তাকে বলা যেতে পারে। আমার জীবনের বাণী । আমি যখন থাকব না, আমার ইচ্ছা এটি তাদের কাছে পৌঁছিয়ে দেওয়া হবে যারা জীবনের গভীরতর সমস্যা সম্পর্কে উৎসুক- এবং বিশেষ করে আমার প্ৰিয় পাত্রটির কাছে যে এরই মধ্যে আমার দার্শনিক চিন্তাধারা সম্পর্কে কিছুটা আভাস পেয়েছে। আমার মনে হয়, প্ৰথমে এবং সর্বাগ্ৰে চিন্তাবিদ হবার জন্যই প্ৰকৃতি আমাকে মূলত গড়ে তুলেছিল। কিন্তু ঘটনাচক্রের পাকে পড়ে আমার জীবন হয়ে ওঠে অশান্ত রাজনৈতিক কর্মব্যস্ততার জীবন । তার ফলে ভারতের তথা বিশ্বের চিন্তাজগতে কোন অবদান রেখে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। কিছু দার্শনিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নানা সমস্যা সম্পর্কে আমার কিছু সুনির্দিষ্ট অভিমত আছে । আমার ইচ্ছা, আমাদের পরে যারা আসবে তারা সেগুলি আরও সম্প্রসারিত করবে এবং সেগুলি নিয়ে কাজ করে যাবে। নিজের সম্পর্কে আমি এইটুকু দাবি করতে পারি যে, আমার চিন্তাগুলো শূন্যচারী নয়। আমরা যে বাস্তব জগৎকে জানি তার সঙ্গে