পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই ক্ষণে যা প্রয়োজন ২৬শে আগস্ট, ১৯৩৯এব। 'ফরওয়ার্ড ব্লকে” স্বাক্ষরিত প্ৰবন্ধ । যখন আমি লিখছি ইওরোপে তখন কী ঘটে চলেছে কে জানে ? খবর পাওয়া যাচ্ছে, হের হিটলার পােল্যাণ্ডকে চরমপত্র দিয়েছে। খুবই সম্ভব।--হয়তো ঘটেছেও তাই। যদি তাই ঘটে থাকে পোল্যাণ্ডের প্রতিক্রিয়া কি হবে ? রুশো-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে স্বাধীনতাপ্রিয় পোলরা কি তাদের পবিত্র ভূমির জন্যে লড়াই করবে ? অথবা তারা চেকদের পন্থা অনুসরণ করবে ? মার্শাল পিলসুডস্কি যদি জীবিত থাকতেন তাহলে অনাক্রমণ চুক্তি ও জার্মান চরমপত্ৰ সত্ত্বেও নিশ্চিন্তে যুদ্ধের ভবিষ্যদ্বাণী করা চলত। কিন্তু পোল্যাণ্ডের অগ্ৰণী মার্শাল আর নেই, তঁর অবর্তমানে তঁর দেশবাসী কী করবে, জানা নেই । পোলরা সত্যি যতটা আবেগপ্রবণ ততখানি যদি না হত, তাহলে জার্মানীর কাছে আত্মসমর্পণের মূল্যে পাওয়া শান্তির উপর ভরসা করা যেত । কিন্তু আজ নিশ্চিত কোন ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব নয়, যদিও গ্রেটব্রিটেন ও ফ্রান্সের কূটনৈতিক চাপে পড়ে পোল্যাণ্ড শেষপৰ্যন্ত সিদ্ধান্ত নিতে পায়ে যে, সৎসাহসের অনেকখানিই সুবিবেচনা । জার্মানী ও পোল্যাণ্ডের মধ্যে যদি যুদ্ধ বাধে, তাহলে একথা ঠিক ভারতীয় জনগণের সহানুভুতি থাকবে পোলদের পক্ষে । জার্মানীর পক্ষে আমাদের বোঝাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে যে, পোলিশ করিডরে অথবা যে এলাকা নিয়ে যুদ্ধ হতে পারে সেই এলাকায় এখন পোলদের থেকে জার্মানদেরই বসবাস বেশী। কিন্তু ডানজিগের প্রশ্নে, জার্মানদের দাবি নিশ্চয়ই অখণ্ডনীয় এবং যদি কেবলমাত্র ডানজিগ প্রশ্ন নিয়ে যুদ্ধ বাধে বিশ্ব জনমতের দরবান্মে জার্মানীর আরজি হবে অনস্বীকাৰ্য। এই আন্তর্জাতিক সংঘর্ষে আমাদের মানসিক প্রতিক্রিয়া যাই হোক না কেন, জাতি হিসাবে আমাদের করণীয় কী ? আমরা কি ঘসে বসে