পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই ক্ষণে যা প্রয়োজন S ভাবব আর বাচসা করে চলাব যখন যুদ্ধের দাবানল পৃথিবীর এক প্ৰান্ত থেকে আরেক প্ৰান্তে ছড়িয়ে পড়বে ? যদি রাশিয়ান ও জার্মানরা, যারা কাল পর্যন্ত পরস্পরের চরম শত্রু ছিল, বিশ্বসঙ্কটের সম্মুখীন হয়ে তাদের বিবাদ মিটিয়ে ফেলতে পারে, তাহলে কংগ্রেসের দুই পক্ষ তাদের বিরোধ। ভুলে গিয়ে পূর্ণ স্বরাজের দিকে জাতিকে চালিত করার জন্যে কেন হাত মেলাতে পারবে না ? নির্দলীয় ‘জাতীয় কেবিনেট কি একান্তভাবে ইওরোপীয় ঘটনাই হয়ে থাকবে ? এই রকম জরুরী অবস্থায় কংগ্ৰেসকর্মীরা সমমতাবলম্বী কেবিনেটের ধারণা পরিহার করে, তার জায়গায় মিশ্র কেবিনেট গঠন করার শিক্ষা কি নেবে। না ? এর জবাব দিতে পারেন কেবলমাত্র কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা এবং তঁদের উপদেষ্টা মহাত্মা গান্ধী। বামপন্থীরা বরাবরই মিশ্র কেবিনেট গঠনের নীতির সপক্ষে, কিন্তু এতদিন পৰ্যন্ত তাদের ठा@ाछ् कझा झुgशgछ । সংশ্লিষ্ট সবার পক্ষে এই কথা খেয়াল রাখা ভালো যে, কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল এবং তাদের নেতারা যদি অবস্থার সঙ্গে তাল রেখে এই সংকট মুহুর্তে জাতিকে যথোচিত নেতৃত্ব দিতে না পারেন, তাহলে যে ধারণা এখন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, অর্থাৎ কংগ্রেসের দক্ষিণপন্থীরা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে আপসের চেষ্টা করছে, সেই ধারণাকেই তঁরা সুদৃঢ় করবেন। গ্রেটব্রিটেন এবং তার সমর্থকরা এখন পোলদের জন্যে আত্মনিয়ন্ত্রণের কথা বলছে এবং যদি সে যুদ্ধে যায়, মুখে “আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার" বুলি নিয়েই সে যুদ্ধে যাবে। আমাদের ব্রিটিশ শাসকদের কি এখন মনে করিয়ে দেওয়ার সময় আসেনি যে, মুয়েজখালের পুবে একটা ভূখণ্ড ৱয়েছে, যেখানকার সুপ্রাচীন ও সংস্কৃতিবান এক জাতির অধিবাসীরা স্বাধীনতার জন্মস্বত্ব থেকে বঞ্চিত হয়ে ব্রিটিশ শাসনের চাপে নিষ্পেষিত হচ্ছে ? এবং ব্রিটিশ জনসাধারণ ও তাদের সরকারকে কি একথা বলাৰ সময় হয়নি যে, নিজেদের ঘরে ধারা গোলাম তারা অপরের স্বাধীনতার জন্যে লড়াই করতে °ीव्र नl ?