পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

敏b” কোন পথে ? অভিপ্ৰায় কি সেইরকম বীরোচিত ছিল ? দক্ষিণপন্থী মহলে খুব আশা ছিল, সন্তোষজনক সাড়া পাওয়া যাবে এবং তার ফলে সঙ্কট এড়ানো যাবে। এই ধরনের আশা পোষণ করার কী যুক্তি ছিল তা বোঝা ভার । রাজনৈতিক কাণ্ডজ্ঞানের অধিকারী এমন কেউই নির্দিষ্ট অবস্থা সন্নিবেশে আশাবাদী হতে পারে না । তা সত্ত্বেও, ঘটনা এই যে, বেশ কিছু পরিমাণ আশাবাদ দেখা দিয়েছিল, যা অক্টোবর মাসে বড়লাটের ঘোষণায় ধূলিসাৎ হয়ে যায়। আমাদের মন্ত্রীদের মধ্যে কারও কারও বিবৃতিতে হাহুতাশের ভাব রয়ে গেছে এবং তা পড়তে অসহবোধ 豪和I এই একবার কার্যক্ষেত্রে তৎপরতা দেখা গেল । বড়লাটের বিবৃতি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির কাছ থেকে সাড়া পাওয়া গেল এবং অামাদের মন্ত্রীদের কাছে পদত্যাগ করার নির্দেশ গেল । যে প্ৰণালীতে এই কাজটা করা উচিত ছিল সে সম্পর্কে যদিও আমরা ভিন্ন মত পোষণ করি, তবুও এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই যে, যেসংগঠনের উপর জাতির সম্মান রক্ষার দায়িত্ব রয়েছে মন্ত্রীদের পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়ে সেই সংগঠন যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে । কংগ্রেসের পক্ষে এহিটুকু যৎসামান্য যা না করলে নয়, কিন্তু তার যা করা উচিত ছিল, এইটুকুতেই তা শেষ হয়নি । বড়লাটের বিবৃতি আমাদের দক্ষিণপন্থী বন্ধুদের নিরাশ ও অবাক করেছে। এবারে কংগ্রেসী মন্ত্রিসভাগুলির পদত্যাগে ব্রিটিশ সরকারের এবং বড়লাটেরও অনুৰূপ ভাববার পালা । সরকারী মহলে মন্ত্রীদের পদত্যাগ কেন নৈরাশ্য ও বিস্ময় উৎপাদন করেছে, বিপরীতপক্ষে কেন তা অনিবাৰ্য বলে ধরে নেওয়া হয়নি, এটি একটি বিবেচ্য প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তর যাই হোক না কেন, আসল ব্যাপারটি অত্যন্ত পরিষ্কার । তবে অনুমান করা যেতে পারে, কয়েকটি কারণের খামাবেশ থেকে ব্রিটিশ সরকার ভেবে নিয়েছিল যে, কংগ্রেস লড়াইয়ে নামবে না । সেপ্টেম্বর মাসের গোড়ার দিকে সরকারের সঙ্গে বিনাশর্তে সহযোগিতা করার মনোভােব জ্ঞাপন করে মহাত্মা গান্ধীয় বিবৃতি, দক্ষিণপন্থীদের