পাতা:কোরাণ-তত্ত্ব - ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ماه ) , প্রিয় পাঠক ! হিন্দু ও ইসলাম ধর্শ্বের মধ্যে সামঞ্জস্ত দেখান এবং উভয় ধৰ্ম্ম লইয়া পরস্পর বিবাদ নিবারণ এবং উভয় ধর্মের মূল ভিত্তি এক ইহা প্রতিপন্ন জন্ত এই কোরাণ ༼ཧྥ་༢ লিখিত হইল। হিন্দু শাস্ত্র মতে শ্ৰীকৃষ্ণ ও বুদ্ধ প্রভৃতির স্তায় মহম্মদ (আলা) ভগবানের অবতার ছিলেন এবং তাহাকেও অবতাররূপে গ্রহণ করা সঙ্গত । পবিত্র কোরাণ এবং হদিছ গোদার কালাম বটে। কোরাণ তত্ত্ব, পবিত্র কেরাণ হজৰত মহাম্মদের (আলাবু) মুখ নিস্থত বলিয়া যদিও তাহার নিজের উক্তি বলা হইয়াছে তবু ঐ উক্তি খোদার কালামরূপে গ্রহণ করিতে হইবে। তাহার দলিল দেওয়া হইল । ( কোরণ তত্ত্বের ১৭ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য )। দ্বিতীয়ত:—মহাম্মদ (আলা) শেষ পরগম্বর তাহার পূৰ্ব্বে বহু পয়গম্বর ধর্শ্বের মূল তত্ত্ব ঠিক রাথিয় দেশ ভেদে, রুচিভেদে ও কালভেদে সাম্প্রদায়ীক ধৰ্ম্ম, আচার, রীতিনীতি ও উপাসনা প্রণালী স্থির করিয়া দিয়াছেন। সাম্প্রদায়িক ধৰ্ম্ম ও উপাসনা প্রণালীর কিছুমাত্র নিন বা তাহার উপর কোন দোষরোপ করেন নাই। পরস্তু নিজ নিজ সম্প্রদায়ীক ধৰ্ম্ম ও উপাসনা প্রণালী অনুসারে কার্য্য করা ও তাহ খোদার অনুমোদিত বলিয়। প্রকাশ করিয়া সাৰ্ব্বজনীন উদারতার পরিচয় দিয়াছেন। সেই জন্তই পবিত্র কোরণে মুক্তি ও বেহেস্ত লাভ জন্ত পুনঃ পুনঃ সৎকাৰ্য্য করিবার আদেশ দিয়াছেন এবং সৎকাৰ্য্য ব্যতীত কিছুতেই মুক্তিলাভ হইবে না বলিয়া প্রকাশ করিয়াছেন। সৎকার্যের উপর এরূপ বিশেষভাবে দৃষ্ট আকর্ষণ অস্তান্ত শাস্ত্রে বিরল। এই কোরণ তত্ত্ব বিশদভাবে লিখা হইয়াছিল। কিন্তু কতকগুলি কারণে ছাপান কর্য্যে নানারূপ প্রমাদ ঘটায় অনেকাংশ বাদ দিতে হইয়াছে। এবং উহা একাধিক প্রেসে ছাপান হইয়ছে। পরস্তু আমার সময়ের অপ্রতুলত প্রযুক্ত তাহার পূর্বাপর সামঞ্জস্ত যথাবিহিত রক্ষিত হইয়াছে কিনা তাহ দেখিতে পারি নাই। সুতরাং পবিত্র কোরাণের কোন কোন আয়াতের ব্যাখ্যা বা মীমাংস অসঙ্গত বা অষ্ঠায় বলিয়। প্রতিভাত হইতে পারে। আমার নিবেদন এই যে, পবিত্র কোরাণের উপর বা পরম দয়ালু খোদা তালার উপর কোনও অবজ্ঞা সুচিত হয় এরূপ কোনও উদেষ্ঠ ছিল না । এইরূপ কোন উক্তি প্রকাশ • পাইলে, পাঠকগণ অনুগ্রহ পূর্বক আমাকে তাহ দেখাইয়া দিয়া অনুগৃহীত করিবেন। আশা করি সহৃদয় পাঠক আমার উদ্দেপ্ত অনুধাবন করিয়া আমার সর্বপ্রকার ক্রটী মার্জন করিবেন।