পাতা:কোরাণ-তত্ত্ব - ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোরণ-তত্ত্ব । ዓ » চিত্ত হওয়া গেলন । কিন্তু যখন কৰ্ম্মগুলি ভগবানে অপিত হয়, ভগবানের আশ্রয়ে আসিয়া প্রভুর আজ্ঞামত কৰ্ম্ম করি এই ভাবে যখন দাসের কৰ্ম্মের কোন ফলাকাঙক্ষ থাকে না তখনই মদ্যোগ আশ্রয় হয়। ইহাকেই প্রকৃত সেরেক হীন বন্দেগী বলে। এবং যদি তাহাকে (পয়গম্বরকে ) সেরেস্তা করিতাম তবে অবশ্যই আমি তাহাকে আকৃতিতে মনুষ্য করিতাম এবং তাহার যেরূপ সন্দেহ করিতেছে একান্তই তাতাদের সেরূপ সন্দেত স্থাপন করিতাম। স্থরা আনয়াম “দে হেতু ফেরেস্তাদিগকে আসল আকৃতিতে দেখা মানুনের ক্ষমতা নহে, আর যদি ফেরেস্ত মানুষের আকৃতিতে উপস্থিত হয় তবে তাতারা পুনরায় দেষ্ট সন্দেহ করবে বাহা এখন করিতেছে । “হাদিছ” পরিশিষ্ট ৩১ আঃ দেখ । মন্তব্য—মনুষ্যের চেহারাতে না আসিলে খোদাকে ও দেখা যাইতে পারে না হিন্দু ধৰ্ম্ম সহ এক মত। ( আল্লা ) বলিলেন – কিসে তোমাকে নিষেধ করিল যে, তুমি (ইবলিছ) ঐ বস্তুকে • ছেজদা কর যাহাকে আমি আপন জুই হাতে গড়িয়ছি। সুর ছাদ । পরিশিষ্ট ৩২ আঃ দেখ । মন্তব্য—এখানে হাত অর্থ সাকার মূৰ্ত্তি স্বষ্টি কালে তিনি প্রথমতঃ নিজের স্বষ্টি শক্তিকে সাকার ভাব অবলম্বন করান পরে ঐ স্থষ্টি শক্তি জগতের স্বষ্টি, স্থিতি, লয় করিয়া থাকে। “খালাকতু আদম আল ছরাতেহি” ইহা দ্বার বেশ বুঝা যায়—আল্লা নিজে প্রথমতঃ মনুয্যের আকার ধারণ করেন পরে ঐ