পাতা:কোরান-কণিকা - মীর ফজলে আলী.pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিবেদন কোরানের কাব্যাধুবাদ, বড় দুরূহ ব্যাপার—শব্দে শব্দে অবিকল অনুবাদ সম্ভব হয় না ; পদ্যে কেন গদ্যেও নয় । শব্দের অর্থ বিকৃত না করিয়া, ভাব বজায় রাখিয়া, ছন্দের মিল ও কবিতার লালিতা নষ্ট না করিয়া, তবে ত অনুবাদ । আমি এ হদিশ যথাসম্ভব অনুসরণ করিতে চেষ্টা করিয়ছি। ছন্দের খাতিরে কোন কোন স্থানে অতিরিক্ত শব্দের ব্যবহার করিয়াছি সত্য, কিন্তু ভাবকে বিকৃত করি নাই ; অতিরিক্ত শব্দ চিহ্নের মধ্যে রাপিয়া ষ্টিয়াছি । বাংলা ভাষায় অরিত্রী শব্দের অবিকল প্রতিশব্দ খুজিয়া পাওয়া বঃকর ; তাই অনেক স্থলে ভাব-প্রকাশক বাংলায় প্রচলিত শব্দ ব্যবহার করিতে হইয়াড়ে । আমার ভুল ক্রটার জন্ত জ্ঞানের মালিক পোদ্যতা’লার নিকটে ক্ষমা প্রার্থন করিতেছি ; দয়াময় দয়া করিয়া ক্ষমা করিবেন—ইহাই আমার ভরসা । কোরান-কণিকায় দশটা সুরাহ ও পাচটা সুরা’র অংশবিশেষ স্থান পাইয়াছে। বর্ণিত সুরাহ ও আয়াত সমূহ কেরাত’ ও ‘তেলাওত’ কালে সচরাচর ব্যবহৃত হইয়া থাকে। অনুবাদ গুলি হৃদয়ঙ্গম করতে পারিলে ইসলাম ধৰ্ম্মের সার মৰ্ম্ম, ঈমানের মূল তত্ত্ব-ও স্বত্র সম্বন্ধুে কথঞ্চিৎ আভাস পাওয়া যাইবে ; ইহাই আমার ধারণ } • Įs কোরান কবিতা-পুস্তক নহে, “সহজ সরল কোয়ান এখনি...বহিয়৷ এনেছে সাবধান বাণী” ( সুরাহ-ইয়াসীন ) । সুতরাং ইহাতে কাব্যামৃত রসাস্বাদ ন পাওয়ারই কথা, কিন্তু প্রত্নত ধৰ্ম্ম-পিপাসুর জন্ত ইহাতে পরম রসের সন্ধান আছে! সাগর, ভূধর, কানন, প্রাস্তর, চন্দ্র-স্বৰ্য্য, গ্রহ, তারকার অন্তরালে যে অনাদি সৌন্দৰ্য্য বিরাজ করিতেছে, তাহার