পাতা:কৌতুক-কাহিনী.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\9 কৌতুক-কাহিনী। “আমার কোন বিপদ ঘটিবে না, তোমরা নিশ্চিন্ত থাকি ; আমি শীঘ্ৰ আমাদের সঙ্গিগণকে উদ্ধার করিয়া লইয়া আসিতেছি ; তোমরা কিছুকাল ধৈৰ্য্য ধর ; কোন ভয় করিও না ।” মতিমান চলিলেন। পাহাড় অতিক্রম করিয়া গেলে পূর্ববৎ সেই হরিদ্র্যাবর্ণ পক্ষীর সহিত তেঁাহার সাক্ষাৎ হইল । তাহার হাত ছাড়াইয়া আর কিছুদূর গেলে তিনি দেখিতে পাইলেন কে একটা লোক তাহার দিকে আসিতেছে। সে নিকটে আসিলে দেখিলেন, অতি মনোহরকান্তি একটি যুবা পুরুষ-মুখখানি প্ৰফুল্ল, চক্ষুদ্ধয় অতি উজ্জ্বল হাস্যময়। হাতে একগাছি ছড়ি, ত’তে দুটি সুন্দর সোণার সর্প জড়িত ; ছড়ির মাথায় দুখানি ক্ষুদ্র পাখা । যুবকের মাথায় যে উষ্ণৗষ তা’রও দু’পাশে দুখানি পাখার মত । মতিমান অত্যন্ত চিন্তান্বিত, মুখখানি ভার, ধীরে ধীরে পা ফেলিতেছেন । আমার প্ৰিয় পাঠকপাঠিকাগণ, তোমরা বোধ হয় চঞ্চলকে এতক্ষণ চিনিতে পারিয়াছ । চঞ্চল কহিলেন, - “বড় বুদ্ধিমান তুমি, রাজা মতিমান, দেশে দেশে শুনি হে তোমার যশোগান । এবে কোথা যাও বীর, জান না কি তুমি কিরীটিনী কুহকীর আবাস এ ভূমি ? পাপিষ্ঠ মানুষরূপ দেখিতে না পারে, মানুষ পাইলে তারে পশুপক্ষী করে ; যেমন স্বভাব যার তাহাকে তেমন পশু কি পক্ষীর রূপ করায় ধারণ