পাতা:কৌতুক-কাহিনী.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

we কৌতুক-কাহিনী । গৃহে লইয়া গেল ; এবং সেখানে তঁহাকে সেই লোহার খাটে শুইতে বলিল,- “বহু পথ চলি ক্লান্ত হয়েছ নিশ্চয়, a শয়নে বিশ্রাম লাভ কর, মহাশয় ।” রাজপুত্ৰ কহিলেন-“আমি ক্লান্ত হই নাই--শুইব না ।” প্রধর্ষ তখন নিজ মূৰ্ত্তি ধরিয়া “তুমি অবশ্যই শুইবে” বলিয়া তঁহাকে ধরিতে গেল। ভূবিজয় তাহার তরবারি খুলিলেন, দাসু্য তাহার হাতুড়ি লইল । অতি অল্পক্ষিণ যুদ্ধের পর প্রধর্ষ রাজপুত্রের তরবারের আঘাতে দুই খণ্ড হইয়া আপনার সেই খাটের উপর পাড়িয়া চির-বিশ্রাম লাভ করিল। я তার পর ভূবিজয় আবার পথে বাহির হইলেন। যাইতে যাইতে সমুদ্রতীরে উপস্থিত হইলেন। সেখানে এক পর্বতের গুহায় শৈনক নামক আর এক দুরাচার দাসু্য বাস করিত। সে পাপিষ্ঠ অসহায় পথিকগণকে পৰ্বতের চুড়ায় লইয়া গিয়া সমুদ্রের জলে নিক্ষেপ করিত । সে ভূবিষ্ণুরকেও ধরিয়া লইয়া চলিল । তিনি নিঃশব্দে চলিলেন, প্রথমতঃ কিছুই কহিলেন না ; তার পর পাৰ্বতের চুড়ায় উপস্থিত হইলে নিমেষ মধ্যে শৈনকের হস্ত হইতে আপনার শরীবুমােচন করিয়া, তাহাকে ব্যাস্ত্রের মুখে মেষ-শিশুর ন্যায় অতি সহজে উদ্ধে তুলিয়া ঘুরাইতে লাগিলেন। দসার মুখ ও নাক হইতে রক্ত ছুটিতে লাগিল। কিছুকাল এইরূপে ঘুরাইয়া কুমার তাহাকে নিম্নে নিক্ষেপ করিলেন। তৎক্ষণাৎ “তিনি শুনিলেন, বসুন্ধরা দেবী কহিতেছেন