পাতা:ক্রৌঞ্চ-মিথুনের মিলন-সেতু - অনুরূপা দেবী.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ক্রৌঞ্চ-মিথুনের মিলন-সেতু
১০৬

ঈভিল-স্পিরিটরা নাকি এই রকম সব অত্যাচার করে শুনেছি। কিন্তু তারা ‘হেমলকে’র সাহায্য নেয় তাতো কখনও শুনিনি।

 আর তা বা কি করে বলা যায়? মিসেস পাকড়াসী তো আর ভৌতিক নন, রক্তমাংসের তৈরী মানবীই যে ছিলেন তার মধ্যে তো আর সংশয় নেই, না হলে গুলি খেয়ে মরলেন কি করে? লোকটা তাকে দিব্যেন্দুর সন্তানদের পয়জন করে মারবার জন্যে নিযুক্ত করেছিল, তাহলে সেই বা ভূত হবে কেমন করে, মানুষ না হয়ে? আর ঐ সর্প-বিষেরই বা সহায়তা নেবে কেন সে?

 দিব্যেন্দুকে হঠাৎ এক সময় প্রশ্ন করে বসলুম, “আচ্ছা, তোমার শ্বশুরবাড়ী কোথায়? তাঁদের কে কে এবং কোথায় আছেন? তোমার বিয়েতে আমি তো আসিনি, এ বিষয়ে কিছুই তাই জানিনে।”

 দিব্যেন্দু ঈষৎ অপ্রতিভের মত লজ্জিত মুখে জবাব দিলে, “বিয়েটা আমার ভাই ঠিক যথারীতি তো ঘটেনি, তাই কাউকেই জানাতে পারাও যায়নি। ব্যাপারটা একটু রোমাণ্টিক গোছের হয়েছিল কিনা।”

 “তাই নাকি?—কি রকম?”

 “অর্থাৎ ঘটক বা অভিভাবকরূপে তৃতীয়পক্ষ এ বিয়েতে কেউ ছিলেন না, স্রেফ বর-কনেকেই ঘটকালী করা থেকে সব কিছুই করতে হয়েছিল।”

 “ঠিক বুঝলেম না। কোর্টশিপ করে স্বাধীনভাবেই না হয় বিয়েটা হলো, হিন্দু মতেই তো হয়েছে, না তিন আইনে? অসবর্ণ বিয়ে?”

 দিব্যেন্দু বললে, “অসবর্ণও নয়, আবার ঠিকঠাক সবর্ণও হয়ত না হতেও পারে। ইলার সঙ্গে লাহোর যাবার সময় ট্রেনে হঠাৎ দেখা