কথা সেই মিশরীয় সেখই বলেছিলেন। আলো জ্বলতেই আগন্তুক তরিৎপদে এসে আমার একমাত্র পুরাতন ইজিচেয়ারখানা দখল করে শুয়ে পড়লো। দেখা গেল পা তার থরথর করে কাঁপছে। হাঁ করে একটা ঊর্দ্ধশ্বাস টেনে নিয়ে বলে উঠলো, “শীগগির করো,—ঠাণ্ডা বরফ হয়ে রক্ত জমে আসছে, আগুনের বদলে বরফ,—হাঃ হাঃ হাঃ!”
যথাসম্ভব শীঘ্রই গ্লাসে জল ঢেলে তাতে তিন ফোঁটা ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দিলাম। একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে সে ধীরে ধীরে চোখ বুজলো।
আমি টর্চ্চের সাহায্যে আমার রিষ্টব্যাণ্ডে বাঁধা ঘড়িটা মুহুর্মুহুঃ দেখে চলেছি। দুই তিন করে পনের ষোল আঠার কুড়ি মিনিট গত হয়ে গেল। অদ্ভুত আগন্তুকের শরীরে কোন রকম সাড়া নেই, একেবারে নীরব নিথর। কি হ’ল! মরে গেল নাকি? ভয়ে আমার শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠলো। তাই যদি হয়ই, উঃ! কি মহা বিপদেই আমি জড়িয়ে পড়বো। অনেকে জানে আমি কোন ওষুধ বার করবার চেষ্টা করছি। কিসের ওষুধ নাই জানলো, এই অপরিচিতের শরীরে অজ্ঞাত বিষক্রিয়ার পরিচয় আবিষ্কৃত হলে কে না মনে করবে —আমিই ওকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেছি। আমি এখন কি করি? উপায় কিছুই চারদিকে হাতড়ে পাচ্চিনে। পুলিসে খবর দিই? টেলিফোন তো ঘরেই রয়েছে, সব কথাই তাদের খুলে বলবো। ছাড়া আর তো কোন পথই নেই। একবার নাড়ীটা দেখে নিই আগে —একেবারেই শেষ হয়ে গেছে কিনা। প্রাণটা থাকতে থাকতে খবর দিতে পারলে ভাল ছিল। বড্ড ভুল করেছি। বড্ডই ভুল করেছি এতখানি দেরী করে। মড়া তো ফেলতেই হবে, গোপন ত আর থাকবে না।
মুখের কাছে টর্চ্চের আলো ফেলে নিরীক্ষণ করে দেখলেম, শবের