পাতা:ক্লাইব চরিত - সত্যচরণ শাস্ত্রী.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 8 ক্লাইব চরিত । আড়কাটি সংগ্রহ ও চড়া হইতে জাহাজ বাহির করিতে বিলম্ব হওয়াতে ইংরেজদিগের মন্ত্রণ প্রকাশিত হইয়া পড়ে। হুগলীর ফৌজদার নন্দকুমার হুগলীর দুর্গ রক্ষার জন্য সাধ্যানুসারে চেষ্টা করিতে লাগিলেন । তিনি ডচদের নিকট হইতে কণমান আনিয়া কেল্লার বুরুজে সংস্থাপন করিলেন। ধনবান অধিবাসী ও ব্যবসায়ীরা দূরতর প্রদেশে ধন জন প্রেরণ করিয়া নিশ্চিন্ত হইলেন। ইংরেজ সৈন্য ৯ই জানুয়ারী চন্দননগর অতিক্রম করিয়া হুগলী অভিমুখে গমন করিতে লাগিল । এই সময় মাণিকচাদের সৈন্য হুগলীর সাহায্যের জন্য গমন করে । মাণিক চাদের সৈন্সের গতি রোধ করিবার জন্য একজন গোরা সেনানী কতকগুলি সৈন্য লইয়। জলপথে গমন করেন। জলপথে ইংরেজ, জাহাজের উপর হইতে দুর্গের উপর অনবরত গোলাবর্ষণ করিতে আরম্ভ করে। দুর্গ হইতে নবাব সৈন্ত ইহার উপযুক্ত পরিমাণে প্রত্যুত্তরপ্রদান করে। সোমবার রাত্র দুইট। পর্য্যন্ত অনবরত উভয় পক্ষে ঘোরতর যুদ্ধ হইয়াছিল । দুর্গপ্রাচীর ইংরেজদের গোলার আঘাতে ভগ্ন হইয়। যায় । ইংরেজের সেইদিক দিয়া আক্রমণ করিবার ভাণ করিলে, নন্দকুমারের সৈন্য সকল সেই দিক রক্ষার জন্য প্রস্তুত হইল। ইংরেজের নবাব সৈন্যকে প্রতারণা করিয়া অপরদিক দিয়া বিনা বাধায় দুর্গ মধ্যে প্রবেশ করিল। এইরূপে ১১ই মঙ্গলবার প্রাতঃকালে ইংরেজ হুগলীর দুর্গ হস্তগত করিতে সমর্থ হয়। হুগলীর যুদ্ধে নবাব সৈন্য বীরতা দেখাইতে ক্রটি করে নাই । তাহার। আদি হইতে শেষ পর্য্যন্ত ইংরেজদের উপর অনবরত অগ্নিবর্ষণ করিয়াছিল। যখন তাহারা চতুর্দিক হইতে ইংরেজ কর্তৃক আক্রান্ত হইয়াছিল, তখন তাহার। অগত্য দুর্গ