পাতা:ক্লাইব চরিত - সত্যচরণ শাস্ত্রী.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্লাইবের বাল্যলীলা । & না পারিয়া তিনি লণ্ডনে গমন করেন, কিন্তু তথায়ও ভাগ্যলক্ষ্মী র্তাহার প্রতি কৃপাদৃষ্টিতে দেখেন নাই । তিনি মুখর ও দুমুখ ছিলেন। বুলিক ক্লাইব, ভয়ঙ্কর দুষ্ট ও দুর্দমনীয় ছিল । তাহার ভয়ে প্রতিবাসিগণ সৰ্ব্বদ উদ্বিগ্ন থাকিত। কখন সে গির্জার অত্যুচ্চ চূড়ায় উঠিয়া আনন্দ ভোগ করিত। দোকানীরা তাহার ভয়ে বৃত্তি দিতে বাধ্য হইত, কখন ব৷ সে নর্দামার জলে প্রতিকূল দোকানীর দোকান ভিজাইয়া দিয়া জব্দ করিত। ক্লাইবের বাল্যজীবনী এইরূপ কাহিনী পরিপূর্ণ। ক্লাইব বাল্যকালে অনেক সময় তাহার মাসীর বাড়ীতে অবস্থান করিত। পিতার দারিদ্র্য বা স্বীয় চরিত্র জন্য মাসীর বাড়ীতে থাকিতে হইয়াছিল কি না তাহার কারণ তাহার চরিত্র লেখক নির্দেশ করেন নাই । ক্লাইবের পিতা, পুত্রের বুদ্ধি ও চরিত্র দেখিয়া বুঝিয়াছিলেন যে, দেশে তাহার জীবিক উপার্জন বড় সহজ কথা হইবে না, তাই তিনি তাহার কোন পরিচিতের সাহায্যে পুত্রকে কেরাণীগির কার্য্যে মনোনীত করিয়া ভারতবর্ষে প্রেরণ করেন। ১৭৪৩ খৃষ্টাব্দের বসন্তের প্রারম্ভে ১৮ বৎসরের বালক, পিতা, মাত, জন্মভূমি পরিত্যাগ করিয়া জীবিকার জন্য অপরিজ্ঞাত প্রদেশের অভিমুখে যাত্রা করিলেন। সে সময়ের সমুদ্রযাত্র বর্তমান কালের সমুদ্রগমন হইতে সম্পূর্ণ পৃথক । তখনকার জাহজের সহিত বর্তমান কালের জাহাজের আকাশ পাতাল প্রভেদ হইয়াছে। ১৮ বৎসরের বালকের নিজের অবস্থা পরিবর্তনের জন্য পিতামাতার মায়। মমতা প্রভৃতি পার্থিব পাশ ছিন্ন করিয়া বিদেশ যাত্র। বড় সামান্য কথা নহে। ইংলণ্ডবাসী এইরূপে উৎকট তপস্যা করিয়াছিল বলিয়াই তাহারা আমাদের উপর