পাতা:ক্লাইব চরিত - সত্যচরন শাস্ত্রী.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ । 8ፃ আদমিকে, পদদলিত করিতে কিছুমাত্ৰ প্ৰয়াসের প্রয়োজন হইবে না। কিন্তু বজ বজ যুদ্ধে তাহার সে ধারণা সম্পূর্ণরূপে বিদূরিত হইল। তিনি দেখিলেন কালা আদমি মরিতে জানে—যুদ্ধকালে প্ৰাণ প্ৰদান করিতে কুষ্ঠিত হয় না। তাই তিনি লিখিলেন “ভবিষ্যতে নবাবকে প্রকাশ্য ক্ষেত্রে জয় করিতে কত দূর সমর্থ | হইব সে বিষয় আমি কোন মত প্ৰকাশ করিতে অক্ষম।” ক্লাইব এই পত্রের এক স্থলে লিখিয়াছেন “নবাবের সৈন্য যদি আরো আক্রমণ করিত তাহা হইলে আমাদের পক্ষের মৃত্যু সংখ্যা আরো অনেক বাড়িয়া যাইত।” কাপুরুষ মাণিক চাদ যদি একটু সাহস অবলম্বন করিয়া যুদ্ধ করিত, তাহা হইলে ইংরাজ কখনই যুদ্ধে জয়লাভ করিতে পারিত না । ইংরাজের কামান অকৰ্ম্মণ্য হইয়াছিল – ইংরাজের সৈন্য পূৰ্বরাত্রের জাগরাণে, পরিশ্রমে অবসন্ন হইয়াছিল-নবাব সৈন্যের অবস্থান বিষয়ক সংবাদ অজ্ঞাত থাকায় যে কোন সময়ে তাহারা অকস্মাৎ আক্রান্ত হইয়া বিপদগ্ৰস্ত হইতে পারিত । ভীরু মাণিকচাদ ইংরাজ মর্দনের এই মাহেন্দ্ৰক্ষণ পরিত্যাগ করায় ইংরাজ রাজলক্ষ্মী এদেশে আপন প্রভাব বিস্তার করিতে সমর্থ হইল । মাণিকচাদ, পরিখা পরিবেষ্টিত বজবজের দৃঢ় দুর্গ পরিত্যাগ করিয়া গমম করিলে ইংরাজ সৈন্য বিনা আয়াসে তাহা হস্তগত করিল। ইংরাজের এরূপ সৈন্য ছিল না যে তাহা হস্তগত করিয়া রাখে পাছে তাহ নবাবের হস্তগত হয়। এই আশঙ্কায় তাহারা বজবজ দুৰ্গ ধ্বংস করিয়া ফেলে। বজবজ গ্রহণের পর দিবস জল ও স্থলপথে ইংরাজীবাহিনী কলিকাতা অভিমুখে অগ্রসর হইতে লাগিল। জলপথে ইংরাজ