পাতা:ক্লিওপেট্রা (নবীনচন্দ্র সেন).pdf/৫০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(৪২)

প্রতিকূল তরীব্যূহ পশিল সংগ্রামে।
মুহূর্ত্তেকে ধূম-পুঞ্জে ঢাকিল জলধি।
আঁধারিয়া দশদিশ্; কিন্তু না পারিল
সংহারক রণমূর্ত্তি লুকাতে আঁধারে।
সেই অন্ধকারে সখি! অঙ্গ মিশাইয়া
তরীর উপরে তরী ঝাপ দিল রোষে।
গর্জ্জিল কামান, ঝাঁপ দিল শত সূর্য্য
ফেণিল সাগরে, তরীবৃন্দ বিদারিয়া
নিমজ্জিয়া জলে, নররক্তে কলঙ্কিয়া
সুনীল সলিলে। হায়! সখি, তুচ্ছ নর,
আপনি জলধি, সেই ভীষণ নিৰ্ঘাত,
তীব্র অনল-বর্ষণ, না পারি সহিতে,
করিতেছে ছট্‌ফট্‌ উত্তাল তরঙ্গে,
ফেণিয়া ফেণিয়া; ঘন ঘন নিশ্বাসিয়া
পড়িতেছে আছাড়িয়া কূলের উপরে।
তরণীর প্রতিঘাত; কামান-গর্জ্জন;
দহ্যমান তরণীর অনল-হুঙ্কার;
বন্দুকের অগ্নিবৃষ্টি, অস্ত্র-ঝনৎকার;
জেতার বিজয়ধ্বনি; জিতের চিৎকার;—
ভীষণ তরঙ্গ-ভঙ্গ, সিন্ধু-আস্ফালন