পাতা:খতিয়ান - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খতিয়ান । २५ বাড়ী গিয়ে চা পৰ্য্যন্ত না খেয়ে মাদুরে চিৎ হয়ে, রণধীর বলল তার স্ত্রীকে, তার মানে গিাধরের সই করা বরখাস্ত নোটিশের বিরুদ্ধে দরখাস্ত कदू begद की । ওগো, তুমি বরখাস্ত হয়েছে নাকি ? বলে কেঁদে উঠল। সরলা । মেয়েটা আগে থেকে কঁদেছিল, একবছরের মেয়ে আর তার মায়ের কান্না একই সুরে বাজতে লাগল রণধীরের কাণে । রণধীরের হঠাৎ হাসি পেয়ে গেল, আনন্দে সৰ্ব্ব শরীর কণ্টকিত হয়ে উঠল। আজকে BBDBBB DBBD DDBB DBDB DDL LEE YLDD DD SggS চিচিঙা, বেগুন কেনার ফাঁকে ফাঁকে ললিত তাকে শোনাচ্ছিলবেদের ওংকার কি ভাবে এ যুগে কারখানায় ভোঁ-কার হয়ে গেছে। মেয়ের খিদের কান্না আর তার মায়ের ভয়ের কান্না একাকার হয়ে সেই কথাটাই যেন প্ৰমাণ করে দিল রণধীরের কাছে। যুদ্ধ শেষ হবার পর মাস দুই কাটতে একমাসে সতরজন বরখাস্ত । শঙ্কার কালো ছায়া নেমে আসে সকলের মুখে। বিস্মিত জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে পরস্পরের দিকে তাকায়, দাত দিয়ে ঠোট কামড়ে ধরে । আপিস বসবার আগে, টিফিনের সময় ও ছুটির পর পাঁচসাতজনে একত্র হয়ে ছোট ছোট ভাগে আলোচনা চালায়, চাপা গুঞ্জনে আপিসটা যেন গমগম করে। সৰ্ব্বদা হাসি গল্পে মসগুল ফুক্তিবাজ রাখাল ও ভুবন কেমন যেন দমে গেছে, সেই নিৰ্ভয় নিশ্চিন্ত বেপরোয়া ভাব আর নেই। কয়েকজন মিলে যেখানে কথা বলছে তার ধারে কাছে তাদের কেউ একজন এলেই সবাই এমন ভাৰে চুপ হয়ে যায় যে তাকে দু’বার ঢোক গিলতে হয়, তাড়াতাড়ি একটা সিগারেট বার করে ঢং করে বলতে হয়, দেশালাইটা