পাতা:খতিয়ান - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খতিয়ান òt বরণডালা সাজিয়ে বেজাত জামাইকে সাদরে সংগ্রহে অভ্যর্থনাও যে কৱত সন্দেহ নেই—তার চাকরে মেয়ের বিনা খরচায় পাওয়া চাকরে জামাই। পাওনা-গণ্ডায় ঘাটতির আপশোষ মহেশের বাবা সামলে উঠত রোজগেরে বীে পেয়ে—যার দেড় দু’বছরের রোজগার ছাপিয়ে যাবে একসঙ্গে পাওয়ার প্রত্যাশাকে । মিলনের জন্য উন্মুখ, উদগ্রীবও হয়ে উঠেছিল। দু’জনেই । তবু পর হয়েই দুরে দূরে তাদের থাকতে হল কেন-এক অনিশ্চিত কালের জন্য, প্ৰতিমা ভেবে পায় না । জব্বলপুর রওনা হবার আগের দিন সন্ধ্যায় মহেশ বিদায় নিতে এসে চা খেতে চেয়েছিল-খোলা ছাতে ঘামেভেজা জামা খুলে খালি গায়ে পাটিতে পা ছড়িয়ে পিছনে হেলে দুহাতে ভর দিয়ে বসে। দিনের অবসানে সন্ধ্যার বিচিত্র পরিবর্তনগুলি তখন সবে ঘটতে শুরু করেছে আকাশে ও পৃথিবীতে। পৃথিবীতে আলো জ্বালা নিষেধ, সন্ধ্যাদীপের শিখা বাইরে থেকে নজরে পড়লেই জরিমানা, জেলা। চাঁদ ও তারা মানুষের হুকুম না মেনে আলো ছায়ার ঝিকিমিকি খেলা শুরু^করছি। মৃদু বাতাস সমেনহে মুছে নিয়ে যাচে দু’জনের সারাদিনের কাজের শ্ৰান্তি আর ঘাম। ও বাড়ীর কঁকালাস কিশোরটার বাঁশের বাঁশীতে aft: পড়েছে। আথালি পাথালি মাথা কপাল কোটা ব্যথার কাকুতি। ভয়ে তারা অবশ হয়ে গিয়েছিল। কথা জড়িয়ে গিয়েছিল তাদের । নির্বাক স্তব্ধতায় রিয়া হয়ে উঠেছিল তারা । কিন্তু নিজের হাত দিয়ে অপরের চাির্স পর্যন্ত ছুতে তারা একজনও ভরসা পায়নি, অপরজনের মনে কষ্ট দেবী ভয়ে । V এক বছরের মধ্যে পারমানেণ্ট করে দেবে বলেছে । \scrie fo