পাতা:খয়বরের জঙ্গ নামা - দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী.pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

আদি ও আসল ১৯৫ খয়বরের জঙ্গনামা আতশী নেজা চক্ষু পরে তার মগজ ফঁাড়িয়া মাথা হৈয়া গেল পার # মারা গেল ফের আর দোছরা আইল। সেই মতে সেতাব আপন জান দিল # এইমত আবুল মাজন করে একে মারিল কাফেরগণ সত্তর জনাকে * বাদশা দেখিয়া জ্বলে আগ, ১ বরাবর। জঙ্গের হাতীয়ার বান্ধে ওজুদ উপর ৯ হীরা ধার তলওয়ার নেজা আবদার। বান্ধিয়া ঘােড়ার পরে হইল সওয়ার আগেই যায় তার হাজার জাওয়ান। লাল কাল জরদা রং হাজার নিশান # চলিল খাকান চীন ধরিয়া রেকাব। লাগাম ধরিয়া যায় আফরাসিয়াব # শাহান শাহার ঝাণ্ডা উড়ে চান্দের সমান যেন নয়া দুলা যায় ইলাহীর শান # ময়দানে পৌছিয়ে বাদশা করিল রওশন। ফেরাইয়া দিল যত লস্কর নিশান # ময়দানেতে আবুল মাজন খাড়া হৈয়া ছিল। হাঁকিয়া তাহার তরে কহিতে লাগিল # বাদশা বলে শুন ওহে আরী জাওয়ান। এইক্ষণে যাও তুমি ছাড়িয়া ময়দান খয়বরের মুল্লুকেতে আমি তাজদার লড়িতে শরম হবে সঙ্গেতে তােমার * কোনখানে আছে সেই আলী পাহালওয়ান । হয়রান যাহার হাতে তামাম জাহান । তাহাকে আমার কাছে দেহ পাঠাইয়া। লড় ক আমার সাথে। ময়দানে আসিয়া নসিবে যাহার যাহা হইবে তাহাই। কি কারণে মারা যায় দু-দলে সীপাই ১ আবুল মাজন বলে তাহা কই এমন। ভেড়িয়া ভেড়ীর জোট না হয় কখন ব্রাহ্মণ হইয়া দে হাত না বাড়াও। আসমানের মুখ পরে ধূলা না উড়াও আপন আন্দাজে লেও তারীফ আপন । ফক্করী করিলে মারা যাইবে এখন * বাদশা তারে বারে কহে সেই বাত। লড়াই করিব আমি হায়দরের সাথ * লস্করে থাকিয়া দেখে। হজরত হায়দর। বাদশা রহিল খাড়া ময়দান উপর সব মালুম শাহা করিল তাহার। ঘােড়া কুদাইয়া গেল ময়দান মাঝার তাসুল মাজনে কহে তুমি ফিরে যাও। আপনার লস্করের