পাতা:খাদ্যতত্ত্ব.djvu/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আয়ুৰ্ব্বেদ মতে খাদ্য ব্যবস্থা ১১৭ হিতকর। বালক, বৃদ্ধ, ক্ষত, ক্ষীণ, বর্ণ, কেশ ও ওজো ধাতুর পক্ষে 2뼈한g 1 মধুর রস অধিক পরিমাণে গ্রহণ করিলে জর, শ্বাস, গলগণ্ড, অৰ্ব্বদ, ক্রিমি, স্থূলতা, অগ্নিমান্দ্য, ও কফ রোগ উৎপন্ন হয় । অম্ন রসের গুণ–পাচক, রুচিকারক, পিত্তবৰ্দ্ধক, কফকারক, রক্তবৰ্দ্ধক, লঘু (১) লেখনযুক্ত (২), উষ্ণবীৰ্য্য (৩), স্পৰ্শণীতল, ক্লেদকর, বায়ুনাশক, স্নিগ্ধ, ( ৪ ) তীক্ষু ( ৫ ), প্ৰসরণশীল, বিবন্ধন্ত্র, অনাহ অপহারক, চক্ষুর অপ্রসন্নতাকারক, রোমাঞ্চ ও দস্তহর্ষজনক, চক্ষু ও ক্র সঙ্কোচক । অতিরিক্ত অম্লরস সেবন করিলে—ম্রাত্তি, তৃষ্ণ, দাহ, তিমির ( চক্ষুরাগ ), জ্বর, কও, পাণ্ড, বীসপ, শোথ, বিস্ফোটক ও কুষ্ঠ রোগ জন্মে । লবণ রসের গুণ—সংশোধন কারক, রুচিজনক, পাচক, কফকারক, পিত্তবৰ্দ্ধক, বাতন্ত্র, শরীরের শিথিলতা ও মার্দৰ ( কোমল ) কারক ; বলনাশক, মুখে জলস্রাবক এবং কপোল ও গলদেশ প্ৰদাহক । আমাদের বিবেচনায় অধিকমাত্রায় লবণ রস গ্রহণ করিলে, দেহের উল্লিখিত অপচয় ঘটিতে পারে। উপযুক্ত পরিমাণে লবণ গ্রহণ না করিলে দেহ লবণ অভাব বশতঃ সংক্রামক ব্যাধি কর্তৃক সহজে আক্রাস্ত হয় । প্রত্যেক ব্যক্তির খাদ্যের সহিত দৈনিক তিল হইতে চারি তোলা লবণ গ্রহণ করা কৰ্ত্তব্য । ( ১ ) লঘু—হিতকারক ; কফনাশক ; লঘুপাচ্য। ( ২ ) যে দ্রব্য দৈহিক ধাতু সমূহকে শোষণ পূর্বক উল্লেখন (শরীর কর্ষণ) করে, যেমন মধু, গরমজল, বচ প্রভৃতি । ( ৩ ) স্নিগ্ধ—বায়ু ও কফনাশক ; পিত্ত জীর্ণতা উৎপাদক । ( s ) উষ্ণবীৰ্য্য—বায়ু নাশক, কাফকারক, বলকারক। ( e ) তীক্ষ—পিত্তবৰ্দ্ধক ; লেখন, কফ ও বায়ুনাশক।