স্ট্রেটকে দিলাম; ও তাঁহাকে কহিলাম, “পুলিস কর্ম্মচারীর অবর্ত্তমানে পুনরায় কেশব বাবুর নিকট গমন করিয়া তাঁহার সমস্ত কথা পুনরায় লিখিয়া লইতে আজ্ঞা হয়, কারণ যদি তিনি আরোগ্যলাভই করেন, তাহা হইলে এই খুনি মকর্দ্দমা তাঁহার উপর চালাইতে হইবে।”
আমাদিগের প্রার্থনামত ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব একজন সাহেব ডাক্তার সঙ্গে লইয়া সেই স্থানে গমন করিয়াছিলেন, কিন্তু তাঁহাদিগের সেই স্থানে উপস্থিত হইবার অতি অল্পক্ষণ পূর্ব্বে জমিদার মহাশয়ের মৃত্যু হয়। সুতরাং তিনি মকর্দ্দমার হস্ত হইতে নিষ্কৃতি লাভ করেন।
যতীন্দ্রনাথ যথাসময়ে নিষ্কৃতি লাভ করেন ও পরে শুনিয়াছিলাম, ঐ যতীন্দ্রনাথের সহিত অমলার বিবাহ হয়, ও তিনিই পরিশেষে কেশব বাবুর সমস্ত জমিদারীর অধিকারী হন। যে দরিদ্র কন্যাকে তিনি বিবাহ করিতে চাহিয়াছিলেন, এই গোলোযোগের সময় সেই কন্যার অভিভাবকেরা অপরের সহিত তাহার বিবাহ দিয়াছিলেন।
সমাপ্ত।
“বাঁশী”
যন্ত্রস্থ।