পাতা:খুনী কে - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৯

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
খুনী কে?

চপলতা তাঁহাতে দেখিতে পাই নাই। এ বয়সে তাঁহার ধীর ও প্রশান্ত মূর্ত্তি দেখিয়া আমি আশ্চর্য্যান্বিত হইলাম। চারি চক্ষুর মিলন হইলে আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “মহাশয় কি আমার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিয়াছেন? আপনার নাম?”

 যুবক ঈষৎ হাস্য করিয়া বলিলেন, আজ্ঞা হাঁ, আমি আপনারই নিকট আসিয়াছি। শুনিলাম, আপনি এখানে আসিয়াছেন। সেই জন্য একেবারে থানায় আসিয়া উপস্থিত হইয়াছি। আমার নাম ভবানীপ্রসাদ, পিতৃহত্যাপরাধে যিনি অন্যায়রূপে বন্দী হইয়াছেন, আমি তাঁহারই এক বন্ধু। আপনার সহিত গোপনে আমার অনেক কথা আছে। শুনিয়াছি, আপনি একজন প্রসিদ্ধ গোয়েন্দা। লোকমুখে আপনার যথেষ্ট সুখ্যাতি শুনিয়া আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনিই আমার বন্ধুকে মুক্ত করিতে পারিবেন।”

 ভবানী প্রসাদের মুখে সকল কথা শুনিবার ইচ্ছা হইল। আমি ভবানী প্রসাদকে অফিস-ঘরে ডাকিয়া আনিলাম। লালমোহনও আমাদের সহিত আসিলেন।

 সকলে অফিসের টেবিলের চারিদিকে চেয়ারে ও বেঞ্চের উপর উপবেশন করিলে ভবানীপ্রসাদ আমাকে বলিলেন, “মহাশয়! যে লোক একদিন একটী পায়রার ছানা মরিয়া যাওয়ায় কাঁদিয়া ফেলিয়াছিল, তাহাকে কি আপনি পিতৃঘাতী বলিয়া সন্দেহ করিতে পারেন? আমি ঈশ্বরের শপথ করিয়া বলিতে পারি, আমি স্বচক্ষে তাহাকে কাঁদিতে দেখিয়াছি। এখন আপনি একমাত্র ভরসা। আপনি কি আমার বন্ধুকে মুক্ত করিতে পারিবেন না?”

 আমি ভবানী প্রসাদের কথায় মুগ্ধ হইলাম। বন্ধুর জন্য