স্থিত। তাহাকে দেখিয়া পূর্ব্বোক্ত ব্যক্তি বলিয়া উঠিল, “ইহারই লাম সলামত।”
আমার পোষাক দেখিয়া ও তাহার নাম শুনিয়া সলামতের ভয় হইল। সে লাগামটী গাড়ীর চালে বাঁধিয়া নামিয়া পড়িল। পরে আমার নিকট আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল—“কেন মশায়? আমাকে কি দরকার?”
আমি বলিলাম,—“আজ প্রাতে তুমি দুইটী বালিকা ও এক বৃদ্ধাকে যেখানে লইয়া গিয়াছিলে আমাকে এখনই সেখানে লইয়া চল।”
সলামত প্রথমে কোন উত্তর করিলনা। সে একমনে কি ভাবিতে লাগিল। আমি বলিলাম,—“তোমার ঘোড়া যদি ক্লান্ত হইয়া থাকে আর দুইটী ঘোড়া ভাড়া কর। আমি ঘণ্টা হিসাবে ভাড়া দিব।”
তবুও সলামত উত্তর করিল না। সে কেবল আমার মুখের দিকে চাহিয়া রহিল। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম,—“কথার উত্তর দিতেছ না কেন? সহজে না রাজী হও অন্য উপায় দেখিব।”
অনেক কষ্টে সলামত উত্তর কারল,—“সে জায়গাটা আমার ঠিক মনে নাই।”
আমার রাগ হইল। আমি কর্কশ স্বরে বলিলাম,—“দেখ সলামত! এই কাজ অনেকদিন থেকে কর্ছি। তোমার মত অনেক লোক দেখেছি। তুমি একজন প্রবীণ লোক হ’য়ে মিথ্যা ক’রে বল, যে জায়গাটা মনে নাই? বিশেষ তুমি একজন পাকা কোচমান। একবার যে স্থান দেখ্বে সে আর জন্মে ভুল্বে না।”
আমার তোষামোদপূর্ণ কথায় সলামত ভুলিয়া গেল। বলিল,