আ। বাড়ী কোথায়?
লা। সিয়ালদহের নিকট, আমি সে বাড়ী জানি।
আ। শোভনের ভগ্নী ত এখন তাঁহারই বাড়ীতে আছেন। শুনিয়াছি, রূপসীর বিবাহ উপলক্ষে তিনি ভ্রাতার বাড়ীতে গিয়াছিলেন, সম্ভবতঃ এখনও ফিরিয়া আইসেন নাই।
লাল সিং আশ্চর্য্যান্বিত হইয়া বলিলেন,—”কে বলিল; শোভনের ভগ্নী তাঁহারই বাড়ীতে আছে? আমার বিশ্বাস, তিনি বিবাহের দিন প্রাতেই নিজ বাড়ীতে গিয়াছেন।”
আমিও বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলাম,—“সে কি! রাত্রে ভাইঝির বিবাহ—আর প্রাতে তিনি নিজ বাড়ীতে ফিরিয়া গেলেন? এ কি নূতন রহস্যের কথা বলিতেছেন?”
লা। আজ্ঞে—রহস্যই বটে। তিনি রূপসীর বিবাহ দেখিতে আসিলেন—অথচ বিবাহের দিন প্রাতেই নিজ বাড়ীতে ফিরিয়া গেলেন কেন, তাহা বুঝিতে পারিলাম না।
আ। শোভন সিংএর মুখে ত সে কথা শুনিলাম না। তাঁহার ভগ্নী যে সেইদিন প্রাতেই নিজ বাড়ীতে গিয়াছেন, এ কথা ত তিনি বলিলেন না। বরং এমন কথা বলিয়াছিলেন, যাহাতে আমি বুঝিয়াছিলাম যে, তিনি তখনও সেই বাড়ীতে বাস করিতেছেন, এমন কি, তিনি তাঁহার ভগ্নীপতিকে পর্য্যন্ত দেখাইয়াছিলেন।
লা। তাঁহার ভগ্নীপতি এখনও আছেন বটে কিন্তু ভগ্নী নাই।
আ। কেন তিনি নিজ বাড়ীতে গিয়াছেন, বলিতে পারেন?
লা। আজ্ঞে না। সে কথা বলিতে পারিলাম না।
কিছুক্ষণ চিন্তার পর আমি লাল সিংকে বলিলাম—“আপনাকে এখন একটা কাজ করিতে হইবে। আমি একবার শোভনের