পাতা:খেয়া-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘অনাবশ্যক” কবিতা সম্বন্ধে চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনো-একটি পত্রে ( ৪ অক্টোবর ১৯৩৩) রবীন্দ্রনাথ লেখেন— থেয়ার ‘অনাবশ্বক’ কবিতার মধ্যে কোনো প্রচ্ছন্ন অর্থ আছে বলে মনে করি নে। আমাদের ক্ষুধার জন্যে যা অত্যাবশ্বক তার কতই অপ্রয়োজনে ফেলাছড়া যায় জীবনের ভোজে, যে ভোজ উদাসীনের উদ্দেশে । আমাদের অনেক দান উৎসর্গ করি তার কাছে যার তাতে দৃষ্টি নেই। সেই অনাবশ্বক নিবেদনে আনন্দও পেয়ে থাকি ; অথচ বঞ্চিত হয় সে, যে একান্ত আগ্রহ নিয়ে হাত পেতে মুখ চেয়ে দাড়িয়ে আছে । চারি দিকে প্রতিদিন দেখতে পাচ্ছি— সংসারে যেখানে অভাব সত্য সেখান থেকে নৈবেদ্য প্রচুর পরিমাণেই বিক্ষিপ্ত হয় সেই দিকে যেখানে তার জন্যে প্রত্যাশা নেই, ক্ষুধা নেই। খেয়া কাব্যের প্রথম কবিতা ‘শেষ খেয়া'র কয়েকটি একদল ( one syllable ) শব্দের সূচনায় স্বরের দীর্ঘ উচ্চারণ প্রত্যাশিত, ইহ। উল্লেখযোগ্য মনে হয়। প্রত্যেক স্তবকের ধুয়ায় ‘আ—য় এবং অন্তিম স্তবকের পঞ্চম ও ষষ্ঠ ছত্রে ‘বা—র’ ‘আ—র’ ‘যা—র এবং ‘জ–ল উচ্চারণ করিলেই ছন্দোমাধুর্য পরিস্ফুট হইবে। চিত্র। ঐসমীরচন্দ্র মজুমদারের সৌজন্যে প্রাপ্ত পাণ্ডুলিপির পৃষ্ঠা । সম্ভবত ইহাতে ‘প্রভাতে কবিতার মূল প্রেরণার সন্ধান মিলিবে ; ১৩০৯ সনের ৭ হইতে ১১ পৌষের মধ্যে ইহার রচনা। চিত্রের বর্জিত অংশ দ্রষ্টব্য।