পাতা:গঙ্গা-মঙ্গল.djvu/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه/ع - ‘গঙ্গামঙ্গলে' মাধবাচার্য্যের কোন আত্ম-পরিচয় প্রদত্ত হয় নাই। উহার স্থানে স্থানে ভণিতায় কেবল এই পদটি দৃষ্ট হয় ;– “চিন্তিয়া চৈতন্ত-চন্দ্রচরণ-কমল । দ্বিজ মাধবে কহে গঙ্গামঙ্গল ॥” • ‘মহাপ্রসাদবৈভৱ’ ও ‘মাধৰবংশতত্ত্ব’ প্রভৃতি পুস্তকে জানা যায়, মাধবাচাৰ্য্য চৈতন্তদেবের পড়য়া গু মন্ত্ৰশিষ্য ছিলেন। প্রাপ্তষ্কৃত ভণিত হইতেও মহাপ্রভুর সহিত র্তাহার একটা বিশেষ সম্বন্ধ স্বচিত হইতেছে । মাধবাচার্য্য হুগলী জেলাবাসী হইলেও চট্টগ্রামের সহিত সম্ভবতঃ তাহার কোনরূপ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল ; কিন্তু সে সম্পর্ক কিরূপ, তাহ আমরা বলিতে অক্ষম । চট্টগ্রামের অনেকের বিশ্বাস, মাধবাচার্য্য র্তাহাদের স্বদেশেরই লোক । বস্তুতঃ এ দেশে র্তাহার এতই পসার-প্রতিপত্তি যে, এখানে ঘরে ঘরে তাহার "জাগরণ" পাওয়া যায় এবং পূজার সময় আজও সাদরে গীত হইয়ু থাকে। কবিকঙ্কণের চণ্ডী এ দেশে সাধারণ্যে একরূপ অজ্ঞাত বলিলেও অত্যুক্তি হয় না ।

  • গঙ্গামঙ্গল” আগের রচনা, কি "চণ্ডীকাব্য” আগের রচনা, তাহা নিশ্চয় করিয়া ৰলা কঠিন। "গঙ্গামঙ্গলের” শেষাংশ পাওয়া গেলে হয় ত এ সমস্তার মীমাংসা হইতে পারিত। আমাদের মনে হয়, তাহার চণ্ডীকাৰ্যই আগে রচিত হইয়াছিল। এই কাব্য রচনার সময় কবি সম্ভবতঃ বৈষ্ণবমন্ত্রে দীক্ষিত হন নাই। তাই ইহাতে গঙ্গামজ্বলে" প্রদত্ত “চিন্তিয়া চৈতন্ত-চন্দ্র-চরণ-কমল” ইত্যাদির মত কোন ভণিতা বা চৈতন্তদেবের কোন উল্লেখ দেখা ধায় না। "গঙ্গামঙ্গল” রচনার সময় যে তিনি বৈষ্ণবমতাবলম্বী