পাতা:গড্‌ডলিকা - পরশুরাম (১৯২৪).pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গড্‌ডলিকা

কলপিতকেশ বৃদ্ধের দশা প্রাপ্ত হইয়াছে। নীচের তলায় অন্ধকারময় মালের গুদাম। উপরতলায় সম্মুখভাগে অনেকগুলি ব্যবসায়ীর অফিস, পশ্চাতে বিভিন্ন জাতীয় কয়েকটি পরিবার পৃথক-পৃথক অংশে বাস করেন। প্রবেশ-দ্বারের সম্মুখেই তেতলা পর্যন্ত বিস্তৃত কাঠের সিঁড়ি। সিঁড়ির পাশের দেওয়াল আগাগোড়া তাম্বুলরাগচর্চ্চিত,—যদিও নিষেধের নোটিস লম্বিত আছে। কতিপয় নেংটে ইঁদুর ও আরসোলা পরস্পর অহিংসভাবে স্বচ্ছন্দে ইতস্ততঃ বিচরণ করিতেছে। ইহারা আশ্রম-মৃগের ন্যায় নিঃশঙ্ক,— সিঁড়ির যাত্রিগণকে গ্রাহ্য করে না। অন্তরালবর্ত্তী সিন্ধি পরিবারের রান্নাঘর হইতে নির্গত হিংএর তীব্র গন্ধের সহিত নরদামার গন্ধ মিলিত হইয়া সমস্ত স্থান আমোদিত করিয়াছে। অফিস-সমূহের মালিকগণ তুচ্ছ বিষয়ে নির্লিপ্ত থাকিয়া, কেনা-বেচা, তেজী-মন্দী, আদায়উসুল, ইত্যাদি মহৎ ব্যাপারে ব্যতিব্যস্ত হইয়া দিন যাপন করিতেছেন।

 শ্যামবাবু তেতলায় উঠিয়া একটি ঘরের তালা খুলিলেন। ঘরের দরজার পাশে কাষ্ঠফলকে লেখা আছে—‘ব্রহ্মচারী এণ্ড ব্রাদার-ইন্‌-ল, জেনারেল মার্চ্চেণ্টস্।’ এই কারবারের স্বত্বাধিকারী স্বয়ং শ্যামবাবু (শ্যামলাল