নন্দবাবুর ইতিবৃত্ত শেষ হইলে হাকিম ঋষভকণ্ঠে বলিলেন—“শির লাও।”
নন্দ শিহরিয়া উঠিলেন। মুন্সী আশ্বাস দিয়া বলিল— “ডর্বেন না মশয়। জনাবকে আপনার মাথা দেখ্লান।”
নন্দর মাথা টিপিয়া হাকিম বলিলেন—“হড্ডি পিল্পিলায় গয়া।”
মুন্সী। শুনছেন? মাথার হাড় বিল্কুল লরম হয়ে গেছে।
হাকিম তিনরঙা দাড়িতে আঙুল চালাইয়া বলিলেন —“সুর্ম্মা সুর্খ্।”
একজন একটা লাল গুঁড়া নন্দর চোখের পল্লবে লাগাইয়া দিল। মুন্সী বুঝাইল—“আঁখ ঠাণ্ডা থাকবে, নিদ হবে।” হাকিম আবার বলিলেন—“রোগন্ বব্বর।” মুন্সী হাঁকিল—এ জি বাল্বর, অস্তুরা লাও।”
নন্দবাবু “হাঁ-হাঁ। আরে তুম্ করে। কি—” বলিতে বলিতে নাপিত চট করিয়া তাঁহার ব্রহ্মতালুর উপর দুইঞ্চি সমচতুষ্কোণ কামাইয়া দিল, আর একজন তাহার উপর একটা দুর্গন্ধ প্রলেপ লাগাইল। মুন্সী বলিল— “ঘব্ড়ান কেন মশয়, এ হচ্চে বব্বরী সিংগির মাথার ঘি। ‘বহুৎ কিম্মৎ। মাথার হাড্ডি শকৎ হবে।”
৬২