সংসদ-সদস্যদের [১][পারিশ্রমিক] প্রভৃতি ৬৮। সংসদের আইন দ্বারা কিংবা অনুরূপভাবে নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আদেশের দ্বারা যেরূপ নির্ধারিত হইবে, সংসদ-সদস্যগণ সেইরূপ[২][পারিশ্রমিক], ভাতা ও বিশেষ-অধিকার লাভ করিবেন।
শপথ গ্রহণের পূর্বে আসন গ্রহণ বা ভোট দান করিলে সদস্যের অর্থদণ্ড ৬৯। কোন ব্যক্তি এই সংবিধানের বিধান অনুযায়ী শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করিবার এবং শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরদান করিবার পূর্বে কিংবা তিনি সংসদ-সদস্য হইবার যোগ্য নহেন বা অযোগ্য হইয়াছেন জানিয়া সংসদসদস্যরূপে আসনগ্রহণ বা ভোটদান করিলে তিনি প্রতি দিনের অনুরূপ কার্যের জন্য প্রজাতন্ত্রের নিকট দেনা হিসাবে উসুলযোগ্য এক হাজার টাকা করিয়া অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
পদত্যাগ ইত্যাদি কারণে আসন শূন্য হওয়া [৩][৭০। (১) কোন নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হইয়া কোন ব্যক্তি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন, অথবা সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন, তাহা হইলে সংসদে তাহার আসন শূন্য হইবে।
ব্যাখ্যা।— যদি কোন সংসদ-সদস্য, যে দল তাহাকে নির্বাচনে প্রার্থীরূপে মনোনীত করিয়াছেন, সেই দলের নির্দেশ অমান্য করিয়া-
(ক) সংসদে উপস্থিত থাকিয়া ভোটদানে বিরত থাকেন, অথবা
(খ) সংসদের কোন বৈঠকে অনুপস্থিত থাকেন,
তাহা হইলে তিনি উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন।
(২) যদি কোন সময় কোন রাজনৈতিক দলের সংসদীয় দলের নেতৃত্ব সম্পর্কে কোন প্রশ্ন উঠে তাহা হইলে সংসদে সেই দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের নেতৃত্বের দাবীদার কোন সদস্য কর্তৃক লিখিতভাবে অবহিত হইবার সাত দিনের মধ্যে স্পীকার সংসদের কার্যপ্রণালী-বিধি অনুযায়ী উক্ত দলের সকল সংসদসদস্যের সভা আহবান করিয়া বিভক্তি ভোটের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের দ্বারা উক্ত দলের সংসদীয় নেতৃত্ব নির্ধারণ করবেন এবং সংসদে ভোটদানের ব্যাপারে অনুরূপ নির্ধারিত নেতৃত্বের নির্দেশ যদি কোন সদস্য অমান্য করেন তাহা হইলে তিনি (১) দফার অধীন উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং সংসদে তাহার আসন শূন্য হইবে।
- ↑ “পারিশ্রমিক” শব্দটি “বেতন” শব্দটির পরিবর্তে সংবিধান (অষ্টম সংশোধন) আইন, ১৯৮৮ (১৯৮৮ সনের ৩০ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
- ↑ “পারিশ্রমিক” শব্দটি “বেতন” শব্দটির পরিবর্তে সংবিধান (অষ্টম সংশোধন) আইন, ১৯৮৮ (১৯৮৮ সনের ৩০ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
- ↑ অনুচ্ছেদ ৭০ সংবিধান (দ্বাদশ সংশোধন) আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ২৮ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।