পাতা:গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান.djvu/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৪
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান

 (৩) এই অনুচ্ছেদে "সুপ্রীম কোর্ট” বলিতে ১৯৭৭ সালের দ্বিতীয় ফরমান (দশম সংশোধন) আদেশ প্রবর্তনের পূর্বে যে কোন সময়ে বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত এলাকার মধ্যে যে আদালত হাইকোর্ট অথবা সুপ্রীম কোর্ট হিসাবে এখতিয়ার প্রয়োগ করিয়াছেন সেই আদালত অন্তর্ভুক্ত হইবে।]

বিচারকদের পদের মেয়াদ [][৯৬। (১) এই অনুচ্ছেদের অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, কোন বিচারক [][সাতষট্টি] বৎসর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন।

 (২) এই অনুচ্ছেদের নিম্নরূপ বিধানাবলী অনুযায়ী ব্যতীত কোন বিচারককে তাহার পদ হইতে অপসারিত করা যাইবে না।

 (৩) একটি সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিল থাকিবে যাহা এই অনুচ্ছেদে "কাউন্সিল” বলিয়া উল্লিখিত হইবে এবং বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারকের মধ্যে পরবর্তী যে দুইজন কর্মে প্রবীন তাহদের লইয়া গঠিত হইবে:

 তবে শর্ত থাকে যে, কাউন্সিল যদি কোন সময়ে কাউন্সিলের সদস্য এইরূপ কোন বিচারকের সামর্থ্য বা আচরণ সম্পর্কে তদন্ত করেন, অথবা কাউন্সিলের কোন সদস্য যদি অনুপস্থিত থাকেন অথবা অসুস্থতা কিংবা অন্য কোন কারণে কার্য পরবর্তী যে বিচারক কর্মে প্রবীণ তিনিই অনুরূপ সদস্য হিসাবে কার্য করবেন।

 (৪) কাউন্সিলের দায়িত্ব হইবে-

(ক) বিচারকগণের জন্য পালনীয় আচরণ বিধি নির্ধারণ করা, এবং

(খ) কোন বিচারকের অথবা কোন বিচারক যেরূপ পদ্ধতিতে অপসারিত হইতে পারেন সেইরূপ পদ্ধতি ব্যতীত তাহার পদ হইতে অপসারণ যোগ্য নহেন এইরূপ অন্য কোন কর্মকর্তার সামর্থ্য বা আচরণ সম্পর্কে তদন্ত করা।

 (৫) যে ক্ষেত্রে কাউন্সিল অথবা অন্য কোন সূত্র হইতে প্রাপ্ত তথ্যে রাষ্ট্রপতির এইরূপ বুঝিবার কারণ থাকে যে কোন বিচারক

(ক) শারীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে তাহার পদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করিতে অযোগ্য হইয়া পড়িতে পারেন, অথবা

(খ) গুরুতর অসদাচরণের জন্য দোষী হইতে পারেন, সেইক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি কাউন্সিলকে বিষয়টি সম্পর্কে তদন্ত করিতে ও উহার তদন্তফল জ্ঞাপন করিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারেন।

  1. অনুচ্ছেদ ৯৬ The Second Proclamation (Fifteenth Amendment) Order, 1978 (Second Proclamation Order No. IV of 1978) এর 2nd Schedule বলে প্রতিস্থাপিত।
  2. “সাতষট্টি” শব্দটি “পয়ষট্টি" শব্দটির পরিবর্তে সংবিধান (চতুর্দশ সংশোধন) আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ১৪ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।