পাতা:গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান.djvu/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৬
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান

 তবে শর্ত থাকে যে, অতিরিক্ত বিচারকরূপে নিযুক্ত (কোন ব্যক্তিকে এই সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের অধীন বিচারকরূপে নিযুক্ত) হইতে কিংবা বর্তমান অনুচ্ছেদের অধীন আরও এক মেয়াদের জন্য অতিরিক্ত বিচারকরূপে নিযুক্ত হইতে বর্তমান অনুচ্ছেদের কোন কিছুই নিবৃত্ত করিবে না৷

বিচারকগণের অক্ষমতা [][৯৯। (১) (২) দফায় ব্যবস্থিত বিধান ব্যতিরেকে, কোন ব্যক্তি অতিরিক্ত বিচারকরূপে দায়িত্ব পালন ব্যতীত বিচারক পদে দায়িত্ব পালন করিয়া থাকিলে উক্ত পদ হইতে অবসর গ্রহণের কিংবা অপসারিত হইবার পর তিনি কোন আদালত বা কর্তৃপক্ষের নিকট ওকালতি বা কার্য করিতে পারিবেন না অথবা বিচার বিভাগীয় বা [][আধা-বিচার বিভাগীয় পদ অথবা প্রধান উপদেষ্টা বা উপদেষ্টার পদ] ব্যতীত প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন লাভজনক পদে বহাল হইবেন না।

 (২) কোন ব্যক্তি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক পদে বহাল থাকিলে উক্ত পদ হইতে অবসর গ্রহণের বা অপসারিত হইবার পর তিনি আপীল বিভাগে ওকালতি বা কার্য করিতে পারিবেন।]

সুপ্রীম কোর্টের আসন [][১০০। রাজধানীতে সুপ্রীম কোর্টের স্থায়ী আসন থাকিবে, তবে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লইয়া প্রধান বিচারপতি সময়ে সময়ে অন্য যে স্থান বা স্থানসমূহ নির্ধারণ করিবেন, সেই স্থান বা স্থানসমূহে হাইকোর্ট বিভাগের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হইতে পারিবে।]

  1. অনুচ্ছেদ ৯৯ The Second Proclamation (Fifteenth Amendment) Order, 1978 (Second Proclamation Order No. IV of 1978) এর 2nd Schedule বলে প্রতিস্থাপিত।
  2. “আধা-বিচার বিভাগীয় পদ অথবা প্রধান উপদেষ্টা বা উপদেষ্টার পদ” শব্দগুলি “আধা-বিচার বিভাগীয় পদ” শব্দগুলির পরিবর্তে সংবিধান (ত্রয়োদশ সংশোধন) আইন, ১৯৯৬ (১৯৯৬ সনের ১নং আইন)-এর ৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  3. মূল ১০০ অনুচ্ছেদটি পুনর্বহাল করা হইয়াছে। কেননা সংবিধান (অষ্টম সংশোধন) আইন, ১৯৮৮ (১৯৮৮ সনের ৩০নং আইন) বলে ১০০ অনুচ্ছেদের সংশোধন মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ কর্তৃক এখতিয়ার বহির্ভূত ও অকার্যকর ঘোষণা করা হইয়াছে। [৪১ ডি, এল, আর, ১৯৮৯ (এ,ডি,) পৃষ্ঠা-১৬৫]।

    উলি খিত আইনবলে সংশোধিত ১০০ অনুচ্ছেদটি নিম্নরূপ ছিল:-

    “১০০। সুপ্রীম কোর্টের আসন।-

    (১) এই অনুচ্ছেদ-সাপেক্ষে, রাজধানীতে সুপ্রীম কোর্টের স্থায়ী আসন থাকিবে।

    (২) হাইকোর্ট বিভাগ ও উহার বিচারকগণ সুপ্রীম কোর্টের স্থায়ী আসনে এবং উহার স্থায়ী বেঞ্চগুলির আসনসমূহে আসনগ্রহণ করিবেন।

    (৩) কুমিলা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, যশোহর, রংপুর এবং সিলেটে হাইকোর্ট বিভাগের একটি করিয়া স্থায়ী বেঞ্চ থাকিবে, এবং প্রধান বিচারপতি সময়ে সময়ে যেরূপ নির্ধারণ করিবেন প্রত্যেক স্থায়ী বেঞ্চের সেইরূপ বেঞ্চসমূহ থাকিবে।

    (৪) প্রত্যেক স্থায়ী বেঞ্চে আসন গ্রহণের জন্য প্রধান বিচারপতি সময়ে সময়ে যেরূপ সংখ্যক হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক মনোনয়নের প্রয়োজন বোধ করিবেন সেইরূপ সংখ্যক বিচারক লইয়া স্থায়ী বেঞ্চটি গঠিত হইবে, এবং উক্তরূপ মনোনয়নের পর মনোনীত বিচারকগণ বেঞ্চটিতে বদলী হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন।

    (৫) রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতির সহিত পরামর্শক্রমে, যে এলাকা সম্পর্কে প্রতিটি স্থায়ী বেঞ্চের এই সংবিধান বা অন্য কোন আইনের দ্বারা হাইকোর্ট বিভাগের উপর বর্ণিত বা অর্পিত হইতে পারে এইরূপ এতিয়ার, ক্ষমতা বা দায়িত্ব থাকিবে তাহা নির্দিষ্ট করিবেন; এবং যে এলাকা ঐভাবে নির্দিষ্ট করা হয় নাই সেই এলাকা সম্পর্কেই সুপ্রীম কোর্টের স্থায়ী আসনে আসীন হাইকোর্ট বিভাগের উক্তরূপ এখতিয়ার, ক্ষমতা ও দায়িত্ব থাকিবে।

    (৬) প্রধান বিচারপতি স্থায়ী বেঞ্চগুলি সম্পর্কিত সকল আনুষঙ্গিক, সম্পূরক ও অনুবর্তী বিষয়ে বিধি প্রণয়ন করিবেন।”