পাতা:গদ্য পদ্য রচিত নানাবিধ জ্ঞানগর্ভ পাঠ.pdf/১৩০

উদ্ভিজ্জের পরিচয় ও স^খ্যা । Y S & পেতে ছয় এবং অন্ত স্তক্ষের মুকুলেতে দ্বাদশ পুংকেশর অাছে, এই পু”কেশর ত্রিভাগে বিভক্ত হইয়াছে, যথা পুণকেশরাগ্ররেঃ, রজস এব০ তন্ত্ৰ ! পুংকেশরাগ্র সীমাস্থিত ক্ষুদ্র গ্রন্থি অথবা স্ফীত ভাগকে পুণকেশ - রাগ্ররেণ কহ যায় । ঐ পুণকেশরাগ্ররেণুর উপরি এবং অন্তরস্থিত রেণ পরাগ নামে প্রসিদ্ধ ; বসন্তকালে মধুমক্ষিকাগণ পুষ্পরেণু অনিয়ম করত স্ব ২ ক্ষুদ্র গৰ্ত্ত মঞ্চে যত্নশ্বৰক স্থাপন করে, এব• মক্ষিকাগণের ভোজ্য দুত যে মধু তাহাতে ঐ রেণু মিশ্রিত হইয়া থাকে। এই পুণকেশরাগ্র ও পরাগ এতদুভয়ের আশ্রয়কে তম্ভ কহা যায় । ৪ । যে ভাগ উক্ত পুংকেশরেতে বেষ্ঠিত হইয়া পুষ্পমধ্যে দণ্ডায়মান ভাবে থাকে তাহা স্ত্রীকেশর নামে প্রসিদ্ধ ; সকল পুঙ্গেতে সমসংখ্যক স্ত্রীকেশর থাকে না ; কারণ পুষ্প বিশেষে একটা মাত্র স্ত্রীকেশর স্তুষ্ট হয় অপর কোন কোন পুঙ্গেতে বহু সংখ্যক স্ত্রীকেশর থাকে ; এই স্ত্রীকেশরেতে তিন বিশেষ ২ ভাগ আছে ; যথা, ষ্টিগমা অঙ্কুর এবং মৃণাল । স্ত্রীকেশরের সীমাস্থিত নিম্নতর গ্রস্থিকে ষ্টিগমা কিম্বা স্ত্রীকেশরএস্থি কহে ; স্ত্রীকেশরের নিম্নতরাশকে অন্ধুর কহ যায়, এই অঙ্কুর পরিপক্ক অবস্থাতে বীজ ধারণ করে । যে নল দ্বারা ষ্টিগমা ও অঙ্কর উভয়ে উভয়ের সহিত সংযুক্ত হইয়াছে তাহা পুষ্পমৃণাল নামে প্রসিদ্ধ। পদ্মের মৃণাল অতি দীর্ষ, বহু সংখ্যক পুষ্পের মৃণাল নাই । ৫ । উদ্ভিজ্জের জন্মবীজ ধারণকারি বস্তুকে বীজস্থলী কহ যায় ; যথা, মটর ও শিমের শুটী, পোস্তৱক্ষের ঢেঁড়ী এবং গুবাক ও আতা ও আঙ্গুর এবং শশাপ্রভূতির ছাল । ৬ । যে বিশেষ পদার্থকে বপন বা রোপণ করিলে উদ্ভিজ্জ উৎপন্ন হয়, তাহা বীজ নামে প্রসিদ্ধ। বস্তুতঃ এই বীজ মধ্যে ভাবি ব্ৰহৎ উদ্ভিজ্ঞগণ অতিশয় স্থায় আকারে সঙ্কুচিত হইয়া থাকে, হতরা যে কৌশলে বীজহইতে ব্লক্ষোৎ পত্তি হয় তাহ পরমাশ্চন্থ । দেখ, বীজ না থাকিলে তাবৎ উদ্ভিজ্জগণ অচিরে লুপ্ত হইত, কিন্তু প্রতি বৎসর বীজ fবস্তীর্ণ হওয়াতে গুথিবীকে উদ্ভিজ্জ রূপ বসনেতে আস্তুত করিয়া রাfথয়াছে । বার্ষিক উদ্ভিজ্জগণ বৎসর ২ বীজহইতে জন্মে। উদ্ভিজ্জগণের মধ্যে সকলেfর সমসংখ্যক বীজ জন্মে না, অর্থাৎ বি Q 2