পাতা:গদ্য পদ্য রচিত নানাবিধ জ্ঞানগর্ভ পাঠ.pdf/১৫০

উদ্ভিজ্জের পরিচয় ও সAখ্যা । § 5 & লতা ও কণ্টক বৃক্ষ এবং কেশের বিবরণ। কতক গুলিন উদ্ভিজ্জ এরূপ স্বভাবাfম্বত যে তাহার কেবল বায়ুর আদ্রতা সহকারে বfদ্ধত হইয়া জীবিত থাকে। গ্রীষ্মাধিক প্রদেশে শুন্যজাত উদ্ভিজ্জগণকে এক রজ্জ্ব দ্বারা ঘরের ভিতরের ছাদহক্টতে নীচে টাঙ্গাইয়া রাখে ; এবং এপ্রকার অবস্থাতেও কিয়ৎকাল ব্যাপিয়া স্বচ্ছন্দে সমৃদ্ধ হইয়া থাকে। সম্প্রতি জলজ উদ্ভিজ্জ্বগণের প্রসঙ্গোপলক্ষে সরোবরে পান নামক যে সামান্ত উদ্ভিজ্জ জন্মে, তাহার কথা বলি ; তাহাদিগকে উদ্ভিজ্জের মত দেখায় না, কেবল একটা একটা পত্রের স্যায় দেখায়, তথাপিও তাহাদিগকে এক প্রকার যৎসামান্ত উদ্ভিজ্ঞ বলিতে হইবে । এই জলজ উদ্ভিজ্ঞগণের প্রকাপ্ত সকল, শুদ্ধ বায়ুগ্ৰণ বহুকৃপবিশিষ্ট হওয়াতে উfভজ্জের পক্ষে মহোপকার করিয়া থাকে ; কারণ তৎসাহাস্থ্যে উদ্ভিজ্জ, জলের উপরিভাগে ভাসিয়া থাকে। অনেকানেক উদ্ভিজ্জের পত্রে ও প্রকাণ্ডেতে বহুসংখ্যক কেশ থাকে। কোন ২ পত্রের নিমপাশ্ব কেশময় কিন্তু উপরিভাগ সমান, এব০ সময় বিশেষে পত্রগণের উভয়পার্থই কেশবিশিষ্ট হয়। এই কেশ সকল এক উত্তম অণুবীক্ষণ যন্ত্রদ্বারা পরীক্ষিত হইলে নিরীক্ষিত হইবে, যে তাহার এক দীর্ঘাকার কৃপ কিম্বা দীর্ঘ নলহইতে অথবা পরস্পর মিলিত বহুসংখ্যক ক্ষুদ্র ২ কুপহইতে উৎপন্ন হুইয়াছে এবং ঐ কূপ সকলের মধ্যে যে এক প্রকার দ্রবন্দ্রৱ্য আছে, তাহা উক্ত কেশচয়ের মধ্য দিয়া ইতস্ততে ধাবমান হইতে দৃষ্ট হইবেক । লালবিছুটা উদ্ভিজ্জের পত্র বা পুষ্পেতে কেশ থাকাতে এই উপকার হইয়াছে, যে, কোন ব্যক্তি তাহাকে ভাঙ্গিতে পারে না, তাহার গাত্রে হাত দিলেই হাত কুটু ২ করে। ঐ কেশসস্থহ এক কুপহইতে উৎপন্ন হইয়াছে, এবং ঐ কেশের স্থলেতে লঙ্কার স্যায় ঝাল এক প্রকার তীব্র রস থাকে, তাহাতে ঐ কেশের উপরে হস্ত পতিত হইবামাত্র কেশের অগ্রভাগ করতলে ফুটিয়া যে সূক্ষ ছিদ্র উৎপন্ন হয়, সেই ছিদ্রদ্বারা উক্ত তীব্ররস করতলে প্রবিষ্ট হয় স্থতরাও হাত চুলকায়। কিন্তু স্তুত বিছুটতে হস্ত প্রদান করিতে শঙ্কা নাই, তাহাতে কণ্টকৰং কেশসন্থহের অগ্রভাগ পূৰ্ববং উত্থিত থাকিলেও