পাতা:গদ্য পদ্য রচিত নানাবিধ জ্ঞানগর্ভ পাঠ.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(E ছাত্ৰবোধ | সম্পাদন করে ; কখন কখন তাহার উপরিভাগ নিম্নভাগহইতে প্তথক হইয়া যায়, এবং পুনৰ্বার তার মিলিত না হইয়া ভিন্ন ২ রূপে আকাশ পথে চলিতে থাকে ; আর কামানের আঘাতদ্বারা যেমন কোন পদার্থ চুর্ণ হইয়া ছিন্নভিন্ন হইয়া পড়ে, সেই রূপ কথন কখন বায়ু প্রবাহে সেই বালুকাস্তস্ত চুর্ণ হইয়া চিত্রাকারবৎ ভূতলে পতিত হয় । বিজ্ঞান শাস্ত্রের উন্নতি হওয়াতে শ্বৰ্বে যে সকল বিষয় অসাধ্য বলিয়া হৃদয়ঙ্গম ছিল, এক্ষণে তাহা ক্রমশঃ অনায়াসে স্থসাপ্ত হইয়া উঠিতেছে । অকুল মহার্ণবে স্বচ্ছন্দে গমনাগমনের নিমিত্ত ব্ৰহৎ হ্রহৎ অর্ণবপোত নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। এক মাসের পথ এক fদবসে উত্তীর্ণ হইবার জন্ত দ্রুতগামী বাস্পযান প্রস্তুত হইয়াছে। ভূমণ্ডলস্থ সমুদায় প্রদেশের সংবাদ অন্যত্ন সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত হইবার নিমিত্ত তাড়িত বাৰ্ত্তাবহ যন্ত্রের স্তুষ্টি হইয়াছে । শত শত স্থলেখক এক দিবসে যাহা লিখিয়া শেষ করিতে না পারেন, তাহা অনায়াসে এক ঘণ্টায় স্থাসম্পন্ন করিবার জন্ত মুদ্রাযন্ত্র নিৰ্ম্মিত হইয়াছে । এই রূপ অনেক বিষয়ের স্বগমের নিমিত্ত অনেক প্রকার কল যন্ত্র স্বষ্টি হইয়াছে । কিন্তু এই বালুক পূর্ণ মহা বিস্তীর্ণ প্রশস্তরে অস্থাপি স্বচ্ছন্দে গমনাগমনের সুযোগ, কি তথায় শস্যোৎপাদনের কোন উপায় স্থির কfরতে কেহই সমর্থ হন নাই ; এবং কস্মিনু কালেও যে কেহ তত্ত্বং কাস্থ্য সম্পন্ন করিতে সমর্থ হইবেন, এমনও বোধ হয় না । মনুষ্ঠবুদ্ধি এ বিষয়ে মিতান্ত পরাজয় স্বীকার করিয়া রহিয়াছে । যেমন বিস্তৃত মহাসাগরের কোন কোন স্থলে এক এক দ্বীপ আছে, তদ্রুপ এই সিকতাময় মহাপ্রান্তর মধ্যেও কোন ২ স্থলে এক এক উৰ্বর ভূমি অাছে। ব্ৰক্ষ, লতা, জল প্রভূতি ঐ সকল উর্ধর। ভূমি ব্যতীত আর কুত্রাপি পাওয়া যায় না । ইহাতে অদ্যাবধি যে সকল উৰ্বর স্থান প্রকাশিত হইয়াছে, তন্মধ্যে কেপাল নামক স্থানই সর্বপ্রধান । ইহার মধ্যভাগে টিম্বকুটু নামক এক প্রসিদ্ধ নগর অাছে । ঐ নগর অফিরিক খণ্ডের মধ্যভাগস্থ লোকদিগের বাণিজ্যের প্রধান স্থান ।