পাতা:গদ্য পদ্য রচিত নানাবিধ জ্ঞানগর্ভ পাঠ.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లి శ్రీ ছাত্ৰবোধ । য়াছে। হে অসামান্ত ধীশক্তিসম্পন্ন সাক্ষাৎ সরস্বতী পুএ কবিকেশরী কালিদাস! তুমি কি অলৌকিক কবিত্ব শক্তি ভূষিত হইয়া এই ভূমণ্ডলে জন্ম পরিগ্রহ করিয়াছ । বিশেষ বুfৎপন্ন অশেষ শাস্ত্রাপ্তাপক মহা মহোপাধ্যায় পণ্ডিত মহাশয়ের কেহই তোমার জুস্ত কfবন্ধ শক্তি প্রকাশ করিতে সমর্থ হন নাই । তোমার কান্ত নাটক সমস্তের রসমাধুরী, শব্দ চাতুরী, ও ভাবভঙ্গী যে কি পৰ্য্যন্ত সুমধুর, তাহা এক মুখে বর্ণন করিতে কে সমর্থ হইবে ! স্বয়ও ভারতী যদি শেষ রূপ ধারণ করেন, তথাপি তিনি সে মধুরতা বর্ণন করিয়া শেষ করিতে পারেন কি না, সন্দেহকল্প । তুমি যখন যে রস বর্ণন করিয়াছ, তখন তাহা স্থfৰ্বমান করিয়া গিয়াছ । তোমার কাব্য নাটকের বর্ণনা সমস্ত পাঠ করিলে এরূপ বোধ হয়, যেন সেই সমস্ত ব্যাপার আমাদের নেত্রপথে বিচরণ করিতেছে। অধিক কি বর্ণন করিব, তোমার অপূৰ্ব ভাবালস্কার ঘটিত মবরসরুচির কবিতা কীৰ্ত্তিই আমাদের ভারতবর্ষের গৌরবের পতাকা স্বরূপ হইয়াছে । এই রত্নগৰ্ভা বস্থঙ্করা তোমাকে ধারণ করিয়াই ধন্ত হইয়াছেন । তোমাকে ধারণ করাতেই তাহার রত্নগৰ্ভা বস্থঙ্করা নামের সার্থকত হইয়াছে । তোমার তুহু অস্থ দ্য বস্থরত্ব জগতে আর কি আছে! আহা ! আমি কি অলীক সৰ্বস্ব মরাধম প্রতারক! এতাবৎকাল পর্য্যন্ত বিদ্যাভিমানে অন্ধ হইয়া নিখিল বিদ্বজ্জন রঞ্জনাজনিত কি ঘোর পাপ পঙ্কে নিমগ্ন হইয়াছিলাম ! কত কত মহাস্থভাব উদারস্বভাব সদাশয় পণ্ডিতকে সভা মধ্যে কি পর্য্যন্ত অপমান না করিয়াfছ ! তাহারা কতই বা মৰ্ম্ম বেদন পাইয়াছেন। আমি স্বচক্ষে প্রর্যক্ষ করিয়াছি তাহারা দীর্ষ নিঃশ্বাস পরিয়োগ, ও ময়মনীরে অবনীকে মাদ্র করিতে করিতে প্রস্থান করিয়াছেন । হে মহানুভব ! আমার এই মহাপাপের কোন প্রায়শ্চিত্ত বিধান করিতে আজ্ঞা হউক । নতুবা আমাকে অন্তে অস্তকালয়ে আমন্তকাল পর্য্যস্ত অশেষ যাতনা ভোগ করিতে হইবেক । . - - কালিদাস ঈষৎ হাস্য আস্তে কহিলেন, মহারাজ। প্রতারণাকে মহাপাপ বলিয়া এত দিনে যে তোমার হৃদয়ঙ্গম হইল, ইহার অপেক্ষা কঠিন প্রায়শ্চিত্ত আর কি আছে! এব° লোককে প্রতারণা জালে বন্ধ করিতে