পাতা:গদ্য পদ্য রচিত নানাবিধ জ্ঞানগর্ভ পাঠ.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, 8 8 ছুজিবোধ । তার মন্ত্রিবর, পরম সুন্দর, আবেশ আখ্যান যার। আহা মরি মরি, এত রূপ ধরি, অল্প হুণ্ঠি শক্তি তার। সে যারে fচনায়, সে যারে দেখায়, তারে প্রেম ভাল বাসে । শয়নে স্বপনে, ভোজনে ভ্রমণে, রাখে তারে fচদাকাশে। দোষ গুণ তার, না করে বিচার, বরণ দোষে গুণ ভাবে । যদি কটু কয়, তাহা সয়ে রয়, গদ গদ হয় ভাবে । হলে সে কুরূপ, ভাবে না বিরূপ, যেন স্থধা জ্ঞান হয়। যুগল আঁখিতে, দেখিতে দেখিতে, অলিমিষ হয়ে রয়।

  • অকস্মাৎ কোন কৰ্ম্ম করো না করো না ।”

পুরাকালে অভ্যাস্থ্যাবৰ্ত্ত রাজ্যে মহাধনিক নামে মহাবিদ্যোৎসাহী গুণগ্রাহী অতি ধনাঢ্য বণিক বাস করিতেন । তিনি একদা সভা মস্থ্যে অধ্যাসীন হইয়া নিখিল-বিষয়-ভাজন সভাজন সহ শাস্ত্রালাপে নিবিষ্টমনা হইয়াছেন ; এমন সময়ে স্থদীন নাম এক কৰি শিরোদেশোক্ত কবিতাদ্ধ লিখিত এক থাfন পত্র হস্তে করিয়া তথায় উপনীত হইলেন ; এবং বাহুত্তোলন পূর্বক গভীর স্বরে তাহাকে আশীৰ্বাদ করিয়া কহিলেন, হে বণিকপ্রবর! আমি শুনিয়াছি, তুমি বিদ্যোৎসাহিতা গুণের অবতার বিশেষ, তোমার জুহু গুণগ্রাহী ব্যক্তি আর দ্বিতীয় নাই । অতএব, আমি এই কবিতা” রচনা করিয়া বিক্রয়ার্থ তোমার নিকটে উপস্থিত করিয়াছি, ইহার স্থান্ত এক শত স্বর্ণমুদ্রা। তুমি ইহ প্রসন্ন মনে ক্রয় করিয়া তোমার ভূষ্টিগোচর কোন স্থানে স্থাপন কর। সদাশয় বণিক সহাস্য আস্তে উত্তর করিলেন, মহাশয় ! ইহার গুণ কি ? কবি কহিলেন, সৰ্বার্থ রক্ষা হয়। বণিক কহিলেল, তবে ইহার গুণ পরীক্ষা না করিয়া ক্রয় করিতে পারি না । আপনি এক্ষণে এ কবিতা আমার নিকটে রাখিয়া ঘাউন, পরে ইহার মহিমা জানিলেই আপমাকে এক শত হুবর্ণ মুদ্রা দিব। কবি তাহাতে সম্মত হইয়া কহিলেন, ভাল ইহার গুণ জানিলেতো আমাকে এক শত স্বর্ণ যুদ্রা দিৰে ? বণিক । কহিলেন, হ অবহু দিব, কোন ক্রমেই অম্ব্যথা হইবে না। যদি সকল লোক-প্রকাশক, কমলিনী-বিকাশক দিবাকর পশ্চিম দিকে উদয় হন,