পাতা:গদ্য পদ্য রচিত নানাবিধ জ্ঞানগর্ভ পাঠ.pdf/৬১

, 8 & ছাত্ৰবোধ ! ভৰ্ত্তাই অবলা জাতির পরম গুরু, ভৰ্ত্তা ব্যতিরেকে স্ত্রীজাতির অপরাপ্ত বস্তু দ্বিতীয় নাই । যে নারী কায়মনোবান্তে সৰ্বপ্রযত্নে স্বামিসেবা করে, তাহার অন্তে অনন্ত কাল পর্য্যন্ত স্বামিসহ স্বৰ্গভোগ হয় । তপঃ, জপ, ব্রত, দান, গুথিবীন্থ সমুদায় তীর্থ দৰ্শন দ্বারা যে ফল লাভ না হয়, স্ত্রীলোকের একমাত্র পতিসেবায় তদপেক্ষা সহস্র গুণ ফল লাভ হয়। যে সংসারে স্ত্রীপুরুষের পরল্পর অনন্তমনে প্রেমানুরাগে কালযাপন হয়, সে সংসার অহরহুঃ পরম সুখাস্তুত নীরে ভাসিতে থাকে। পত্নী যদি অতি প্রিয়া পতিপ্রাণ হয়, তদপেক্ষ উৎকৃষ্ট পদার্থ সংসারে আর কি আছে ! বোধ করি এই রত্নাকর বিশ্বরাজ্যের আধিপন্তে ও এ অস্থদ্য ধনের ভুস্ত স্থখকর নহে। ইহার নিকটে পৰ্বতাকার হিরণ্ঠ রাশিও পাশু তুহু তুচ্ছ বোধ হয়। “স্বৰ্গঃ কি? যদি বল্লভা নিজবধুঃ।” কিন্তু পত্নী যদি স্বেচ্ছাচারিণী হইয়া পরপুরুষপরায়ণা হয়, তদপেক্ষ নিকৃষ্ট পদার্থ ত্রিসংসারে আর কিছুই নাই । সে পত্নীকে বিশ্বাস করা কোন ক্রমেই কৰ্ত্তব্য নহে। সে সাক্ষাৎ কৃতান্তfজহা স্বরূপ। কালভুজঙ্গী। সংসারে এমন অপকৰ্ম্ম নাই, যে তৎকর্তৃক অস্থfঠত না হইতে পারে। সে স্বীয় প্রিয়তমের সন্তোষ লাভার্থ কিম্বা নিৰ্বিঘ্নে বিষয় ভোগের লালসায় অনায়াসে স্বীয় স্বামির অস্থান্ত জীবন ধন বিনষ্ট করিতে পারে । এবিষয়ে কত শত শত উদাহরণ শুনা গিয়াছে। ব্যভিচারিণী নারী, কপট মিত্র, সসপ গুহ, এই সকলকে বিশ্বাস করা, আর জানিয়া শুনিয়া সাক্ষাৎ কৃতান্তমুখে হস্তক্ষেপ করা দুই তুস্ত। অতএব, পাপীয়সি ! তোকে আমার আর বিশ্বাস নাই, এক্ষণেই থরতর তীক্ষধার থভূগাঘাতে তোর মস্তকচ্ছেদ করিব। তোর মহাপাপভারাক্রান্ত দেহধারণের আর আবশুকতা নাই, প্রাণস্লাগই এ পাপের সমুচিত প্রায়শ্চিত্ত। এই কথা বলিতে বলিতেই ক্রোধে প্রস্ফুরিতাধর কম্পমান কলেবর আরক্ত ঘুর্ণায়মান বিস্ফারিতলোচন হইয়। ঐ নরনারীকে যুগপৎ ছেদন করিবার বাসনায় তৎক্ষণাৎ এক তীক্ষুধার খড়গ আনিলেন ; এবণ কোষ হইতে আসি লিঙ্কাশিত করিবার সময়ে সেই কfবদত্ত শ্লোক যে স্থানে ছিল, তথায় নয়নপাত হইল। ইহাতে তৎক্ষণাৎ তাহার প্রচণ্ডতর ক্রোধ সম্বরণ হইল। এৰণ স্থিরচিত্ত হইয়া বিশেষ