পাতা:গদ্য পদ্য রচিত নানাবিধ জ্ঞানগর্ভ পাঠ.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চুত্ৰিবোধ । * A . প্রকাশিত হয়, তাহা অদ্যাপি নিরূপিত হয় মাই । কিন্তু অনেকেই বিশ্বাস করিয়া থাকেন, ১৬২১ খ্রীষ্টাব্দে ডছ জাতীয় দ্রবল নামক এক ব্যক্তি ইহা প্রথম প্রকাশ করেন। এই যন্ত্রদ্বারা সামান্ত চক্ষুর অগোচর অণু পদার্থ সন্থহের এক এক প্রকার নিদিষ্ট অবয়ব, দীর্ঘত, ও স্থূলতা প্রভূতি শ্লষ্ট ভষ্ট হুইয়া থাকে। এfবষয় সন্তক হৃদয়ঙ্গম করিবার নিমিত্ত কতক গুলি প্রমাণ নিম্নে প্রদর্শন করা যাইতেছে । পনীর মধ্যে অসংখ্য কীটাৰ্ণ থাকে ; সামান্ত চক্ষুঃদ্বারা সেই সকল কীটাৰ্ণকে অতি স্থম্ম স্থায় চিহ্ন স্বরূপ বোধ হয়। কিন্তু অণুবীক্ষণ যন্ত্রদ্বারা তাহাদিগকে চক্ষু, মুখ, পদবিশিষ্ট এবং স্থম্ম দীর্ঘ, সুচল লোমান্তত অন্তর্ভূত স্বচ্ছ শরীরী কীটরূপে স্লষ্ট ভষ্ট হইয়া থাকে। সামান্ত চক্ষুদ্বারা প্রন্তেক বালুক কণাকে কেবল গোল ব্যতীত আর কিছুই প্রতীয়মান হয় না। কিন্তু অণুবীক্ষণ যন্ত্রদ্বারা প্রন্তেক বালুক কণার আকৃতির বিভিন্নতা দেখা যায়। কতকগুলি সম্পূর্ণ গোল, কতকগুলি চতুষ্কোণ, কতকগুলি শুপ্তাকার, ইন্দ্যাদি নানাবিধ আকার বিশিষ্ট বোধ হয়। বিশেষ আশ্চষ্ঠের বিষয় এই যে তন্মধ্যে অনেক কীটাকে সচ্ছন্দে বাস করিতে দেখা যায়। ইহা দ্বারা ভেকদিগকে অনিৰ্বচনীয় সুন্দর দেখায় ; এবং তাছাদের চক্ষের স্বচ্ছতা প্রযুক্ত রক্তের গতিবিধি স্লষ্ট লক্ষিত হয়। প্রজাপতিকে সামান্ততঃ অতিশয় সুন্দর দেখায় বটে, কিন্তু অণুবীক্ষণ যন্ত্রদ্বারা বীক্ষণ করিলে যেরূপ অন্তর্ভূত অসাধারণ সুন্দর বোধ হয়, তাছা যিনি দেখিয়াছেন, তাহারই হৃদয়ঙ্গম হইয়াছে। সামান্ত চক্ষুদ্বারা প্রজাপতির পক্ষে কেবল কতকগুলি রেণু ভ্ৰষ্ঠ হয় ; কিন্তু এই যন্ত্রের সাহাষ্ঠে স্লষ্ট দেখা গিয়াছে, যে সে সকল রেণু নহে, এক একটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পক্ষ। অণুবীক্ষণ যন্ত্রদ্বারা যে কত উদ্ভিদ আবিস্কৃত হইয়াছে, তাহাও গণনা করা যায় না। অবনী মণ্ডলে এমন অনেক প্রকার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্ভিদ উৎপন্ন হয়, যে সামান্ত চক্ষুদ্ধারা তাহাদিগকে কোন ক্রমেই উদ্ভিদ বলিয়া প্রতীত হয় না। কিন্তু অণুবীক্ষণ যন্ত্রদ্ধারা তাহাদের পত্র, শাখা, পুঙ্গ, ফল প্রভূতি সমুদায় দেখা যায়। অতএব অণুবীক্ষণ যন্ত্রদ্ধারা কীট এবং উদ্ভিজ্জের এক স্থতন জগৎ আবিষ্কৃত হইয়াছে বলিলেও বলা যাইতে পারে।