পাতা:গদ্য পদ্য রচিত নানাবিধ জ্ঞানগর্ভ পাঠ.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to 8 ভূত্রিবোধ ! বোধ হয়, যে অমৃত বর্ষণ হইতেছে। এৰ এক একটি শব্দ শ্রুতিগোচর হইবা মাত্র কর্ণযুগ অন্ততাভিষিক্ত হইয়া যাইতেছে। অতএব কেবল হ্যাকরণ শুখ হই লেই সুন্দর রচনা হইতে পারে না, এবিষয়ে রসালস্কারের নিতাস্তু অবিশুক । কেহ কেহ বিবেচনা করেন বাঙ্গল ভাষা এমন সম্ভfদ্ধশালিনী নহে, যে তদূর লোকের সর্বপ্রকার মনোগত অভিপ্রায় প্রকাশিত হইতে পারে। এবিবেচনা তাহাদের ভ্রান্তি স্থলক মাত্র। কারণ কল্পলতা সত্ত্বশ সৰ্বাৰ্থ ফলদায়িনী দেববাণী এই ভাষার জননী । ইহার শব্দ চাতুরী, রসমাধুরী, ভাব ঘটা, অনুপ্রাস ছটা, প্রভৃতি সকলই স্বীয় জননীর সভশ। বিশেষতঃ ইহার কোন বিষয়ের অভাব হইলেই স্বীয় জননীর নিকটে প্রার্থনা মাত্রেই তাহার নিরাকরণ হইতে পারে। অতএব সবিশেষ অনুধাবন করিয়া দেখিলে স্লষ্টই প্রতীত হইবে, যে কেবল কতকগুলি নিকৃষ্ট লেখকের অক্ষমতা প্রযুক্তই এভাষার এই রূপ দুরবস্থা হইয়া রহিয়াছে, ভাষার নিজদোষে নহে। এই ভাষার গদ্য পদ্য উভয় রচনাই অন্যস্ত উৎকৃষ্ট হইতে পারে। কয়েক হকবি ও স্থলেখকের রচিত গ্রন্থই তাহার প্রকক্ষ ভ্ৰষ্টান্ত স্থল হইয়া রহিয়াছে। সে সমস্ত গ্রন্থের রসাস্বাদন করিলে মোহিত হইতে হয়। কোন কোন বঙ্গভাষানভিজ্ঞ পণ্ডিতাভিমানী ব্যক্তি রচনার স্বরূপ রসভাবার্থ হৃদয়ঙ্গম করিতে না পারিয়া এককালে বাঙ্গলা সাহিন্তের দোষোদেঘাষণ করিয়া থাকেন । এবিষয়ে তাহাদিগকে তাপরাধী করা যাইতে পারে না। কারণ অর্থ পরিজ্ঞান সত্ত্বেও অনেক পণ্ডিত ব্যক্তিরও প্রকৃত সাহিন্তে শাস্ত্রের গুঢ়রসাস্বাদনের অধিকার হয় না। রসাক্ষ্ট চিত্ত না হইলে কোন ক্রমেই অস্থান্ত সাহিতেশাস্ত্রের স্বাদুগ্রহ হইতে পারে মা ! মণিকার না হইলে কি কেহ মহা মণির গুণ বুঝিতে পারে ? যদি অর্থ পরিজ্ঞান সত্ত্বেও রসজ্ঞান বিরহে সাহিন্তে শাস্ত্রের প্রকৃত রস হৃদয়ঙ্গম না হয়, তবে বঙ্গভাষানভিজ্ঞ মহাশয়েরা বাক্যের রসভাবার্থ হৃদয়ঙ্গম করিতে অসমর্থ হইয়া যে তাহার দোষোদেঘাষণ করবেন, ইহা বড় বিচিত্র মহে। কিন্তু যিনি যে বিষয়ে নিতান্ত অনভিজ্ঞ, তাহার যে তদ্বিষয় লইয়া আন্দোলন ও দোষোদোষণ করা অতি আশ্চৰ্য ব্যাপার। ফলতঃ তিনি তদ্বিষয় লইয়া যত আন্দোলন ও দোষোদেঘাষণ করিবেন, ততই