পাতা:গবর্ণমেণ্ট্‌ গেজেট্‌ (জুলাই-ডিসেম্বর) ১৮৯৭.pdf/৫৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २९ ) চতুর্থ খণ্ড । অপরাধ নিবারণ বিষয়ক বিধি । ৮ অষ্টম অধ্যায়। শান্তিভঙ্গ না করিবার ও সদাচরণের জামিন বিষয়ক বিধি । ক —অপরাধ নির্ণয় হইলে শান্তিভঙ্গ না করিবার জামিনের বিধি । ১• ৬ ধারা । (১) হঙ্গমা, কি আক্রমণ করণ, কি অন্য প্রকারে শান্তিভঞ্জন কিম্বা অপৰাধ নির্ণয হইলে তাহাতে সহায়তা করণ কিম্বা :"*" " তাহা করিবার স্পষ্ট অভিপ্রায় অস্ত্রধারী লোক সংগ্ৰহ কি বেআইনী অন্য কাৰ্য্য করণাপরাধে যে ব্যক্তির নামে অভিযোগ হয়,কিম্বা অপরাধজনকরুপে ভয় দেখাইয়াছে বলিয়া যে ব্যক্তির নামে অভিযোগ হয়, হাই কোর্টের কি সেশন আদালতের কি প্রেসিডেন্সী মাজিষ্ট্রেটের আদ|লতের কি জিলার মাজিষ্ট্রেটের কি মহকুমার মাজিষ্ট্রেটের কিম্বা প্রথম শ্রেণীর মাজিষ্ট্রেটের সম্মুখে সেই ব্যক্তির অপরাধ নির্ণয় হইলে, ও উক্ত আদালত সেই ব্যক্তির স্থানে শান্তিভঙ্গ না করিবার নিবন্ধপত্র লিখাইয়া লওয়া আবশ্যক বোধ করিলে, ঐ আদালত উক্ত ব্যক্তির উপর দণ্ডাজ্ঞা করিবার সময়ে তাহার সঙ্গতি অনুসারে অর্থদণ্ডের নিয়মে তিন বৎসরের অনধিক যত কাল উচিত বোধ করেন তত কালের নিমিত্ত তাহাকে শান্তিভঙ্গ না করিবার জমিন সহ কি জামিন বিনা নিবন্ধপত্র লিখিয়া দিতে আজ্ঞা করিতে পরিবেন । (২) আপলে বা প্রকারান্তরে ঐ অপরাধ নির্ণয় আসিদ্ধ হইলে, এরূপে যে নিবন্ধ পত্র লিখিত হয় তাহা ব্যর্থ হইবে । (৩) কোন আপীল আদালত কিম্বা পুনর্দৃষ্টির ক্ষমতা পরিচালন কালে হাই কোর্টও এই ধারামত অজ্ঞা করিতে পরিবেন । খ। অন্যস্থলে শান্তিভঙ্গ না করিবার জামিন ও সদাচরণের জামিন বিষয়ক বিধি । কোন প্রেসিডেন্সী মাজিষ্ট্রেট কি জিলার মাজিষ্ট্রেট কি মহকুমার નઃ "". মজিষ্ট্রেট কৰা প্রথম শ্রেণীর কথা | মাজিষ্ট্রেট যখনই এই মর্মের সম্বাদ পান যে, উক্ত মাজিষ্ট্রেটের এলাকার মধ্যে কোন ব্যক্তির দ্বারা শান্তিভঙ্গ হুইবার কিম্বা যহতে শান্তিভঙ্গ হুইতে পারে কিম্বা ১০ ৭ ধারা । সাধারণের সুস্থিরতার ব্যাঘাত হইবার সম্ভাবনা ’ এমত কোন অন্যায় কাৰ্য্য করা যাইবার সম্ভাবনা, তখনই উক্ত মাজিষ্ট্রেট এক বৎসরের অনধিক যত কাল উচিত বোধ করেন তত কালের নিমিত্ত শান্তিভঙ্গ না করিবার জামিনসহ কি জামিন বিনা নিবন্ধপত্র লিখিয়া দিবার আজ্ঞা তৎপ্রতি কেন হুইবে না ইহার কারণ দশাইবার জন্য পশ্চাল্লিখিত বিধানমতে সেই ব্যক্তির প্রতি আদেশ দিতে পারিবেন । ১•৮ ধারা । (১) যে কোন মাজিষ্ট্রেট ১০৭ ধারামতে কার্য্য করিতে ক্ষম তাপম্ন মহেন তিনি কিম্বা সেশন আদালত কিম্বা হাই কোর্ট, যদি এরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ দেখেন যে কোন ব্যক্তি কর্তৃক শান্তিভঙ্গ হুইবার অথবা যাহাতে শান্তিভঙ্গ হইতে পারে এমন কোন অন্যায় কার্য্য করা যাইবার সম্ভাবনা ও উক্ত ব্যক্তিকে ধরিয়া হাজতে না রাখিলে অন্য কোনরূপে শান্তিভঙ্গ নিবারণ করা যায় না, তবে তাহাকে ধরিয়া হাজতে না রাখা গিয়া থাকিলে কিম্বা সে অদলতের সম্মুখে না থাকিলে উক্ত মজিষ্ট্রেট কি আদালত তাহাকে ধরিবার ওয়ারণ্ট দিতে এবং ১ • ৭ ধারামতে কাৰ্য্য করিবার ক্ষমতাপন্ন মাজিষ্ট্রেটের নিকটে পঠাইতে পরিবেন । (২) যে মাজিষ্ট্রেটের নিকট এই ধারাক্রমে কোন ব্যক্তিকে পাঠান যায় তিনি যাবৎ পশ্চান্নির্দিষ্ট অমু সন্ধান শেষ না হয় উক্ত ব্যক্তিকে স্বীয় বিবেচনামতে তাজতে রাখিতে পরিবেন। ১০৭ খাবামতে কার্য্য কfবতে ক্ষমতাপন্ন না হইলে মাঙ্গিষ্ট্রেট প্রভূ তব কার্য্যপ্রণালীর কথা । ১c ৯ ধরা। যখন কোন প্রেসিডেন্সী মাজিষ্ট্রেট কি জিলার মাজিষ্ট্রেট কি মহকুমার মাঞ্জিষ্ট্রেট কি প্রথম শ্রেণীর মাজিষ্ট্রেট সংবাদ পান যে, ভ্রমণ কীবী ও সন্দেহযুক্ত ব্যক্তিদের স্থানে সদণচবণের জামিন লই বাব কথ} । (ক) তাহার এলাকার মধ্যে কোন ব্যক্তি আত্মগোপন করিবার যত্ন করতেছে ও কোন ধর্তব্য অপরাধ করিবার অভিপ্রায়ে সে তদ্রুপ যত্ব করিতেছে ইহ বিশ্বাস করিবার কারণ আছে, কিম্বা (খ) যাহার দিনপাতের কোন প্রকাশ্য উপায় নাই কিম্বা যে আপনার স্বদ্বোধজনক বিবরণ জানাইতে পারে না উক্ত এলা কণর মধ্যে তদ্রুপ কোন ব্যক্তি আছে, তখন উক্ত মাজিষ্ট্রেট পশ্চাল্লিখিত প্রকারে বার মাসের অনধিক যত কাল ধাৰ্য্য করা উচিত বোধ করেন তত কালের নিমিত্ত সদাচরণের জামিনসহ নিবন্ধপত্র লিখিয়া দিবার আজ্ঞ তৎপ্রতি কেন হুইবে না ইহার কারণ দশাইবার জন্য সেই ব্যক্তির প্রতি আদেশ করিতে পারবেন