পাতা:গবর্ণমেণ্ট্‌ গেজেট্‌ (জুলাই-ডিসেম্বর) ১৮৯৭.pdf/৬১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৭৯ ) (૨) কোন ব্যক্তির কোন অপরাধ নির্ণয় হইলে । কিম্বা তাহাকে নির্দোষী করা গেলে, পর, যদি সেই বিচারকালে ২৩৫ ধারার ১ প্রকরণমতে তাহার নামে কোন অপরাধহেতুক স্বতন্ত্র অভিযোগ হইতে পারিত, | , তবে পশ্চাৎ সেই অপরাধের নিমিত্ত তাহার বিচার হইতে পারবে । (৩) কোন ক্রিয় সম্পর্কে ষে অপরাধ হয় কোন ব্যক্তির সেই অপরাধ নির্ণয় হইলে, সেই ক্রিয় হইতে যে ফল উৎপন্ন হয় যদি ঐ ক্রিয়া সহযোগে সেই ফলটি ঐ অপরাধ হইতে ভিন্ন অপরাধ হয়, তবে যে সময়ে তাহার অপরাধ নির্ণয় হইল সেই সময়ে সে ফল না হইয়! থাকিলে, কিম্বা হইলেও অণদালত তাহ অবগত না থাকিলে, শেষোক্ত অপরাধহেতুক সেই ব্যক্তির পশ্চাৎ বিচার হইতে পরিবে । (৪) কোন ক্রিয়ামূলক কোন অপরাধে কোন ব্যক্তিকে নিদোষ কর গেলে কিম্বা তাহার অপরাধ নির্ণয় হইলে পর যদি ঐ ব্যক্তি সেই ক্রিয়ামূলক অন্য কোন অপরাধ করিয়া থাকে ও যে আদালত প্রথমে | তাহার বিচার করিয়া ছিলেন পশ্চাৎ এ ব্যক্তির সেই অন্য অপরাধের অভিযোগে সেই আদালত তাহার বিচার করিতে সক্ষম না হন তবে পূৰ্ব্বে নির্দোষী করা গেলেও কি অপরাধ নির্ণয় হইলেও সেই অন্য অপরাধহেতুক পশ্চাৎ তাহার নামে অভিযোগ ও তাহার বিচার হইতে পরিবে । (৫) এই ধারার কোন কথা ক্রমে সাধারণ ধারা বিষয়ক ১৮৯৭ সালের আইনের ২৬ ধারার কিম্বা এই আইনের ১৮৮ ধারার বিধানের ব্যাঘাত হইবে না । ব্যাখ্যা –নালিশ ডিসমিস করা গেলে, কিম্বা ২৪১ ধারামতে কাৰ্য্যামৃষ্ঠান স্থগিত করা গেলে, কিম্ব অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ছাডিয়া দেওয়া গেলে কিম্ব ২৭৩ ধারামতে অভিযোগপত্রে কোন কথা লেখা গেলে, তাহা এই ধারার অভিপ্রায়ামুযায়ী নির্দোষ করণ হয় না । উদাহরণ। (ক) আনন্দ চাকর হইয়া চুরি করিয়াছে এই অভিযোগে বিচার হইয় তাহণকে নির্দোষ কর গেল । তাহা হইলে ঐ নির্দেশষ করণের অজ্ঞা প্রবল থাকিতে আনন্দের নামে সেই রত্তান্ত ধরিয়া চাকর স্বরূপ চুরি করিবার কি কেবল চুরি করিবার কি অপরাধভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করিবার জন্য অভিযোগ হইতে পরিবে না । (খ) বধকরণাভিযোগে আনন্দের বিচার হইয়া তাহাকে নির্দোষ করা গেল। তৎকালে দসু্যতার অভিযোগ হয় নাই কিন্তু যে সময়ে বধ করা হয় সেই সময়ে আনন্দ দস্যতাও করিয়াছিল রত্তান্তদ্বারা ইহা দৃষ্ট হইলে, তৎপশ্চাৎ তাহার নামে দস্থ্যতা করণাপ রাধের অভিযোগ ও সেই অভিযোগমতে তাহার বিচার হইতে পারবে । (গ) গুরুতর পীড়া জন্মাইবার অভিযোগে আনন্দের বিচার হইয় তাহার অপরাধ নির্ণয় হইল । যে ব্যক্তি পীড়া পায় পশ্চাৎ সেই ব্যক্তির মৃত্যু হইলে অপরাধঘটিত নরহত্যার নালিশে আনন্দের আবার বিচার হইতে পরিবে । (ঘ) বলরামকে দোষঘটিত নরহত্যা করণাপরাধে আনন্দের নামে সেশন আদালতে অভিযোগ হইয়া ঐ অপরাধ নির্ণয় হইল। তৎপরে সেই বৃত্তান্ত ধরিয়া বলরামকে বধ করণাভিযোগে তাহার বিচার হইতে পারবে না । (ঙ) আনন্দ ইচ্ছাপূৰ্ব্বক বলরামের পীড়া জন্মাইয়াছে বলিয়া প্রথম শ্রেণীর মজিষ্ট্রেট তাহার নামে অভিযোগ করিয়া তাহার অপরাধ নির্ণয় করিলেন । তৎপরে সেই বৃত্তান্ত ধরিয়৷ এই ধারার ৩ প্রকরণম যায়ী মোকদ্দমা না হইলে, ইচ্ছাপূৰ্ব্বক বলরামের গুরুতর পীড়া জন্মাইবার নিমিত্তে আনন্দের পুনশ্চ বিচার হইতে পরিবে না । (চ) আনন্দ বলরামের গাত্র হইতে দ্রব্য চুরি করে বলিয়া দ্বিতীয় শ্রেণীর মাজিষ্ট্রেট তাহার নামে অভি যোগ করিয়া তাহার অপরাধ নির্ণয় করিলেন । সেই বৃত্তান্ত ধরিয়া আনন্দের নামে পুনশ্চ দস্থ্যতা করণের অভিযোগ হইয়া তাহার বিচার হইতে পারবে । (ছ) আনন্দ বলরাম ও চন্দ্র দিননাথের উপর দস্থ্যতা করিয়াছে বলিয়া প্রথম শ্রেণীর মাজিষ্ট্রেট তাহাদের নামে অভিযোগ করিয়া তাহদের অপরাধ নির্ণয় করিলেন । তৎপরে সেই বৃত্তান্ত ধরিয়া আনন্দের ও বলরামের ও চন্দ্রের নামে ডাকাইত করিবার অভিযোগ হইয়া তাহার বিচার হইতে পরিবে । (জ) একই বৃত্তান্ত ধরিয়া দুইটি বিভিন্ন অপরাধে অনিমেদর নামে অভিযোগ হইয় তাহার একটি অপরাধ নির্ণয় হয় ও অপর অপরাধে তাহকে নির্দোষ করা ধায় । যে অপরাধে জাহাকে নির্দোষ করা হইয়াছে আপীল আদালত তাহার সেই অপরাধ নির্ণয় করিতে পরিবেন এবং তাহার যে অপরাধ নির্ণয় হইয়াছে সেই অপরাধে তাহাকে নির্দেশষ করিতে পারিবেন। সপ্তম খণ্ড । আপীল ও অর্পণ ও সংশোধন করণের বিধি । ہے ۔ےہ سےبتا؟ ৩১ একত্রিংশ অধ্যায় । আপলের বিধি । g a৪ ধারা। এই আইনমতে কিম্ব অন্য যে আইন ধৎকালে চলিত থাকে সেই আইন মতে আপীল করিবার বিধান না থাকিলে, ফৌজদারী আদালতের কোন নিম্পত্তির কি হাজার উপর আপীল হইবে না । প্রক{সান্তবেল বিধান ন৷ থাকিলে আপীল ন হই - রার ক খ ;