পাতা:গবর্ণমেণ্ট্‌ গেজেট্‌ (জুলাই-ডিসেম্বর) ১৮৯৭.pdf/৭৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( قا ه د ) ১• ধারা –পঞ্জাব গবৰ্ণমেন্টের পরামর্শমূসারে এই সংশোধনটি করা হইয়াছে। যদি এরূপ বিশেষ জরুরি কার্য্য উপস্থিত হয় যে জিলার মাজিষ্ট্রেট সাহেব তাহাতে ব্যাপৃত থাকাতে অন্য কোন বিষয়ে মনোযোগ দিতে সক্ষম না হন তাহা হইলে স্থানীয় গবর্ণমেন্ট তিন মাসের অনধিক কালের জন্যে এক জন আডিশনল জিলার মাজিষ্ট্রেট নিযুক্ত করিতে পারবেন এই সংশোধন দ্বারা স্থানীয় গবৰ্ণমেন্টকে এইরূপ ক্ষমতা দেওয়া হইল। ১৭ (৪) ধারা —যে স্থলে অদৃষ্টপূৰ্ব্ব দৈব ঘটনা বশতঃ সেশন জজ কৰ্ম্ম করিতে অশক্ত হন সেই স্থলের বিধান করাই এই প্রকরণের অভিপ্রায় । ২১ (ঙ) ধারা।—এক্ষণে জিলাস্থ অপর মজিষ্ট্রেটদের উপর জিলার মাজিষ্ট্রেটের সাধারণ কর্তৃত্ব করিবার যে সবল ক্ষমতা আছে এই স্থলে অন্যান্য প্রেসিডেন্সী মাজিষ্ট্রেটের উপর প্রধান প্রেসিডেন্সী মাজিষ্ট্রেটকেও সেই সকল ক্ষমত দিবার প্রস্তাব করা হইল । - ২৩ ধারা —মান্দ্রাজ ও বোম্বাইয়ের গবর্ণমেন্টেরা এক্ষণে ঐ এ প্রেসিডেন্সীনগর সম্বন্ধে শান্তিরক্ষার্থ জটিস নিযুক্ত করিবার যে একয়েক ক্ষমতার পরিচালন করেন কলিকাতার নিমিত্ত শান্তিরক্ষার্থ জষ্টিস নিযুক্ত করণার্থ একমাত্র বঙ্গদেশের গবর্ণমেণ্টকেই সেই ক্ষমতা প্রদান করিবার প্রস্তাব করা যাইতেছে। পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব আইনে মন্ত্রিসভাধিষ্ঠিত শ্ৰীযুত গবণর জেনরল সাহেবকে যে সমান ক্ষমতা প্রদত্ত হইয়াছিল বহু বৎসর যাবৎ তাহার পরিচালন করা হয় নাই ও তাহ রক্ষা করিবার আবশ্যকতাও নাই । ২৮ থার। —একটি শব্দগত অশুদ্ধির বিষয় অবগত করা যাওয়াতে এই সংশোধনটি করা হইল । ইহা মুসবিদার কথা মাত্র । -د ২৯ ধার। —দ্বিতীয় তফসীলের শেষাংশের সহিত এই ধারাটির সম্বন্ধ, উপস্থিত সংশোধন দ্বারা ধারাটি এ অংশের বেশী অনুরূপ করা হইবে । ৩১ ও ৩৪ ধার। —কোন আসিষ্টাট সেশন জজ কোন প্রশ্বাপণ করিলে তৎসম্পর্কে অজ্ঞা দিবার সম্বন্ধে সেশন জজের যে ক্ষমতা আছে আডিশনল সেশন জজকেও সেই ক্ষমতা দিবীর এss করা গেল । ৩৫ ধারা –ভারতবর্ষের দণ্ডবিধির আইনের ৭১ ধারার লিখিত পৃথক করা যাইতে পারে এরূপ সকল অপরাধ ও যে সকল স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র অপরাধের জন্য মাজিষ্ট্রেটের নিয়মিত ক্ষমতার বহিভূত পৃথক ও অতিরিক্ত দণ্ডাজ্ঞা প্রদান করা যাইতে পারে এই জুইয়ের মধ্যে যে প্রভেদ আছে তৎসম্বন্ধে আইন আরো বিশদ করাই এই সংশোধনগুলির উদ্দেশ্য । ৪০ ধারা —এই ধারার ঠিক অর্থ কি তাহ আরো পরিস্কার করিম বুঝাইবার জন্য একটি উদাহরণ দেওয়া इहेव्न ] ৪১ ধারা –জিলার মাজিষ্ট্রেট অধীন মাজিষ্ট্রেটদিগকে অনেকগুলি ক্ষমতা দিতে পারেন, এই কার•ে কোন স্থানীয় গবর্ণমেণ্ট এক্ষণে আইনানুসারে যেমন এরূপ সমস্ত বা কোন ক্ষমতা প্রত্যাহার করিতে পারেন তেমনি জিলার মাজিষ্ট্রেটও পরিবেন এইরূপ প্রস্তাব করা যাইতেছে । ৪২ ধারা —এই সংশোধন দ্বারা ১২৮ ধারাটি কেবল পুনঃ উদ্ধত করা হইয়াছে । কোন মাজিষ্ট্রেট ও পোলীসের কর্মচারী সাহায্য চাহিলে সৰ্ব্বসাধারণের তাহাদিগকে সেই সাহায্য প্রদান বিষয়ে যে যে দায়িত্ব আছে এক স্থানে তৎসমুদয় সন্নিবেশিত হওয়াতে সুবিধা বোধ চুইবে । ৪৪ ধারা —দেশীয় রাজগুলিতে বিশেষতঃ রটিষ ভারতবর্ষের সীমাস্থিত দেশীয় রাজ্যগুলিতে যে সকল অপরাধ করা হয় বা করিবার অভিপ্রায় থাকে তৎসম্বন্ধে সম্বাদ প্রদান বিষয়ে এই নূতন ধারাটি আবশ্যক। ৫৪ ধারা, (১) পরাগ্রাফ, শেষ দফা - ৫৬৬ ধারার একটি অংশ এই স্থলে উদ্ধৃত করা হইয়াছে অসম্পূর্ণতা দোষ পরিহারার্থ ঐ ఇ} এই খানে ও সন্নিবেশিত করিবার প্রস্তাব করা গেল । (৩) পারাগ্রাফ —বোম্বাই গবর্ণমেণ্টের পরামর্শমতে এই সংযোগটি করা হইল এবং অধীশ্বরী বনামবজ্জিগান মোকদ্দমায় (ই, লারি ৫ মাম্রাজ, ২২ ) ইহার আবশ্যকতা প্রতিপন্ন হইয়াছে উক্ত মোকদ্দমায় এরূপ নিপত্তি করা হয় যে কোন গ্রাম্য সে কাদাব এই ধারার অর্থানুসারে ওয়ারণ্ট বিন প্লুত করিবার ক্ষমতাপন্ন পোলীসের কর্মচারী নয় অতএব এরূপ চৌকীদারের হেফাজত আইনসঙ্গত হেফাজত না হওয়াতে তাহ। হইতে পলায়ন করায় অপরাধ হয় না । ৫৭ ধারা –কোন দেশীয় রাজ্যের অধিবাসী রটষ ভারতবর্ষে কোন অধৰ্ত্তব্য অপরাধ করিয়াছে বলিয়। অভিযুক্ত হইলে তাহার সম্বন্ধে যে কাৰ্য্যপ্রণালী খাটান যাইতে পারে তাহার বিধান করনার্থ ভারতবর্ষের A/ গবর্নমেন্টের অভিপ্রায়ামুসারে ও স্থানীয় গবর্ণমেণ্টদিগের অনুমোদন সহকারে এই ধারাটর পুনৰ্ব্বার মুসবিদ কর झ हे व्न । ৬১ ধারা – ধুত ব্যক্তি কোন গ্রাম্য পোলাস কর্মচারির জিন্মায় রক্ষিত না হইয় যে সময়ে কোন নিয়মিত পোলাস কর্মচারির জিয়ার রক্ষিত হয় পোলী:সর জিম্মার আটক রাখিবার কাল সেই সময় হইতে যে আরম্ভ হইবে ইহা নির্দেশ করাই এই সংশোধনটির উদ্দেশ্য , এরূপ না হইলে অনেক স্থলে পোলীসের অনুসন্ধান তারত্ব করিতে পারিবার পূৰ্ব্বেই আটক রাখিবার আইন সঙ্গত কাল অতীত হইয়া যাইবে।