পাতা:গবর্ণমেণ্ট্‌ গেজেট্‌ (জুলাই-ডিসেম্বর) ১৮৯৭.pdf/৭৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २** ) • না করিলে এরূপ সাক্ষ্য নষ্ট হইতে পারে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক হইলে যে কাৰ্য্যপ্রণালী (৫১২ ধারা) অমৃস্থত হইবে তাহ খাটান হইয়াছে। ৪৭১ ধারা, (৩) পারাগ্রাফ —প্রত্যেক স্থলে বিশেষ করিয়া আজ্ঞা দিবার প্রয়োজন হইবে না এবং মন্ত্রিসভাধিষ্ঠিত ঐযুত গবৰ্ণর জেনরল সাহেব সাধারণ আজ্ঞা প্রকাশ করিয়া এই সকল বিষয়ের ব্যবস্থা করিতে পরিবেন ইহাতে এইরূপ বিধান করা গেল। যে প্রদেশে ক্ষিপ্ত ব্যক্তিদের কোন আশ্রয়স্থান স্থাপিত হয় নাই সেই প্রদেশের কোন আদালত যে স্থলে কোন ব্যক্তিকে এরূপ আশ্রয় স্থানে বদ্ধ করিয়া রাখিবার আজ্ঞা করেন বিশেষতঃ সেই স্থলে উক্তরূপ বিধান আবশ্যক। (৪) পারগ্রাফে বৰ্ত্তমান আইনের ৪৭৫ (খ) ধারাটি পুনরুদ্ধৃত করা গেল । ৪৭৬ ধারা, শেষ পারাগ্রাফ –রিপোর্ট করা মোকদ্দমাগুলি হইতে দৃষ্ট হয় যে, কোন আদালতের নিকট যে আমষ্ঠানিক কাৰ্য্য হয় তৎসম্বন্ধে এ আদালতের স্বীয় বিবেচনা মতে কাৰ্য্য করিবার যে অধিকার আছে কোন সংশোধনকারী আদালত এইরূপ সকল বিষয়ে সেই অধিকারে হস্ত ক্ষেপ করেন সুবিচারের প্রতি লক্ষ্য রাখিলে ইহা বাঞ্ছনীয় নয়। ফৌজদারী আনুষ্ঠানিক কাৰ্য উপস্থিত করা হইলে সরল অভিপ্রায়ে আপত্তি করিবার প্রচুর পরিমাণে সুযোগ করিয়া দেওয়া হইল। এই কারণেই এই ধারাটি প্রণীত হইয়াছে। ৪৮০ ধারা। —কোন সাক্ষী বেআইনী মতে কোন আদালত হইতে চলিয়া গেলে এ আদালতের অবজ্ঞা কর । হইয়াছে বলিয়া যাহাতে উক্ত আদালত ঐ অপরাধের সরাসরীমতে বিচার করিতে পারেন তন্নিমিত্ত ভারতবর্ষের দণ্ডবিধির আইনের ১৭৪ ধারাটি সংযুক্ত করিয়া দেওয়া হইল । ৪৮৮ ধারা, ( ২ ) পারাগ্রাফ। —কেবল মাত্র আপন আজ্ঞার তারিখ হইতে না হইয়া নালিশের তারিখ হইতেও মাজিষ্ট্রেট ভরণ পোষণের টাকা দিবার আজ্ঞা করিতে পরিবেন, এই পারাগ্রাফে তাহাকে এইরূপ ক্ষমত। প্রদত্ত হইল । ৩ পরাগ্রাফ, নিয়ম বিধি –শেষের শব্দগুলির পরিবর্তন করাতে, ভরণ পোষণের আজ্ঞা করণ বিষয়ে মাজিষ্ট্রেটকে আপন বিবেচনামুসারে কার্য্য করিবার অধিকতর ক্ষমতা দেওয়া হইল। এইরূপ করা আবশ্যক হইয়াছে, কারণ একটি রিপোর্ট করা মোকদ্দমা হইতে দৃষ্ট হয় যে, অপরের যে বিবাহিতা স্ত্রীর সহিত সহবাস করিলে ভারতবর্ষের দণ্ডবিধির আইনের অর্থম সারে পরস্ত্রীগমন অপরাধ হয় এরূপ স্ত্রী না হইয় অপর স্ত্রীলোকের সহিত স্বামী সহবাস করিলেও তাহার স্ত্রীকে বলপূর্বক তাহার সহিত একত্র থাকিতে বাধ্য কর। যাইতে পারে এবং তাহার স্ত্রী এরূপ না করিলে তাহাকে স্বতন্ত্র ভরণপোষণ পাইবার অধিকারচু্যত করা যাইতে পারে। ই, লা, রি, ১৭ মাম্রাজ, ২৬০ পৃষ্ঠা দেখ । (৬) পারাগ্রাফ —যে ব্যক্তির নামে সমন দেওয়া হয় সে ব্যক্তি যদি অবজ্ঞা করিয়া উপস্থিতন হয় তাহ হইলে,মাজিষ্ট্রেট মোকদ্দমার বিচার করিয়া ভরণপোষণের নিমিত্ত একতরফ আজ্ঞা করিতে পারবেন, নিয়ম বিধিটিতে তাহাকে এইরূপ ক্ষমতা দেওয়া হইল। এরূপ মোকদম পুনৰ্ব্বার আরম্ভ করিবার ও বিধান করা গেল । (৭) পরাগ্রাফ —যাহার নামে সমন হয় সে যাহাতে আপনার পক্ষে সাক্ষীস্বরূপ আপনিই পরীক্ষিত হইতে পারে এই পারাগ্রাফে তাহাকে তদ্রুপ অধিকার প্রদত্ত হইল এবং এতৎক্রমে মজিষ্ট্রেট ভরণপোষণের মোকদ্দমায় খরচা সম্বন্ধে ও অজ্ঞা করিতে সক্ষম হইবেন । (৮) পারাগ্রাফ ।--এতদ্বারা এইরূপ মোকদ্দমায় মাজিষ্ট্রেটের বিচারাধিকার ব্যক্ত করা হইল। রিপোর্ট করা মোকদ্দমা গুলিতে এই বিষয়ে স্পষ্টমত প্রকাশ করা হয় নাই । •৪৯৮ ধারা —৪২৬ ধারার বিধানের প্রতি লক্ষ্য করিয়া “ কিম্বা সেশন আদালত ’ এই শব্দগুলি উঠাইয়। দেওয়া উচিত কি না ইহা পরে বিবেচনার জন্য রক্ষিত হইল । ৫১৪ ধারা –কোন জামিনদারের মৃত্যুর পূৰ্ব্বে র্তাহার দায়িত্ব ঘটিয়া থাকিলে এই সকল সংশোধনক্রমে ঐ মৃত জমিনদারের ইষ্টেটের বিরুদ্ধে কাৰ্য্যামৃষ্ঠান হইতে পরিবে। ৫১৭ ধারা – কোন মজিষ্ট্রেটের সম্মুখে যে কোন সম্পত্তি উপস্থিত করা যায় যাহাতে তাহার বিলিব্যবস্থা সম্বন্ধে তিনি আজ্ঞা দিতে পারেন তাহাকে তদ্রুপ ক্ষমতা দিবার জন্য এই ধারার প্রসর বদ্ধিত করা হইয়াছে । ৫২ • ধারা । —প্রথম আদালতের আজ্ঞা কাৰ্য্যে পরিণত করা হইয়া থাকিলে, উৰ্দ্ধতন আদালত যদি ঐ আজ্ঞা অন্যথা করিয়া আজ্ঞা দেন তবে সম্পত্তি ফিরাইয়া দিবার আদেশ করিয়া এই ধারার মে আপন আজ্ঞ কার্ষ্যকর করিতে পরিবেন । ৫২৬ ধারা –কোন অধস্তন আদালত দাড়ামত কোন মোশন বা আফিডেবিট ব্যতীত সম্পর্কযুক্ত পক্ষদিগের সম্মতি সহকারে কোন হাই কেটে কোন বিষয় অৰ্পণ করিলে হাই কোর্ট এই সংশোধন যে কোন BBBBS BBBB BBBB BB BBB BBB BBBB S KBBB BBB BB BB BBBBBBB BB BBBBSBD হাই কোর্টের ক্ষমতা বৰ্দ্ধিত হুইবে । ৫২৬ ধারা (৮) পারাগাফ —কোন তদন্ত বা বিচার মুলতবী রাখা হয় বা তন্নিমিত্ত দিনাস্তর ধার্য্য করা যায় এইরূপ প্রার্থনা করিবার ক্ষম তার অনেক সময়েই অপব্যবহার হওয়াতে, এইরূপ স্থলে বিচার পতিকে কিয়ৎ পরিমাণে স্বীয় বিবেচনামূসারে কার্ষ্য করিবার অধিকার দেওয়া আবশ্যক বলিয়া দৃষ্ট হইয়াছে।