পাতা:গম্ভীরায় শ্রীগৌরাঙ্গ.pdf/২৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
প্রবর্ত্তনা।

শ্রীগম্ভীরা-মন্দির ও শ্রীপাদ কাশীমিশ্রালয়ের কিঞ্চিৎ বিবরণ প্রকাশ করা যাইতেছ।

 পুরীক্ষেত্রে শ্রীশ্রীরাধাকান্তের মঠ পুরুষোত্তমযাত্রীবৈঞ্চবমাত্রেরই প্রধানতম দর্শনীয় স্থান। এই মঠেই প্রেমময় শ্রীগৌরাঙ্গের গম্ভীরা-লীলা-স্থলী এখনও বর্ত্তমান। গম্ভীরার কথা বলিবার পূর্ব্বে শ্রীপাদ কাশীমিশ্রের ভবনের কথা বলিতে হয়, কাশীমিশ্রের ভবন সম্বন্ধে কোন কথা বলিতে হইলে বর্ত্তমান সময়ে শ্রীশ্রীরাধাকান্তের মঠের কথাই সর্বাগ্রে বলা কর্ত্তব্য। এই মঠ শ্রীরাধাকান্ত-মঠ। শ্রীজগন্নাথ-মন্দিরের অনতিদূরে দক্ষিণপূর্ব্বভাগে অবস্থিত। শ্রীমন্দির হইতে সমুদ্রাভিমুখে গমন করিবার যে রাস্তা আছে, সেই রাস্তার পূর্ব্বভাথে শ্রীরাধাকান্ত-মঠ বিরাজমান। শ্রীমন্দির হইতে অনধিক পাঁচ মিনিট গমন করিলেই এই মঠ প্রাপ্ত হওয়া যায়। কোন‍্ সময়ে উহা সংস্থাপিত হয়, কোন‍্ সময়ে এখানে শ্রীশ্রীরাধাকান্তদেব প্রতিষ্ঠিত হন, তাহার ঠিক ঐতিহাসিক বিবরণ জানিবার সবিশেষ উপায় পাইলাম না। তবে প্রাচীন জনশ্রুতি এই যে একদা রাজা প্রতাপরুদ্র যুদ্ধার্থে কাঞ্চিনগরে গমন করেন। দুর্ভাগ্যক্রমে ঐ যুদ্ধে তিনি পয়াজিত হইলেন এবং আত্মরক্ষার কোন উপায় না দেখিয়া অবশেষে শ্রীভগবানের চরণে একান্তমনে আত্মসমর্পণ করিলেন। এই অবস্থায় তিনি নিদ্রাভিভূত হইয়া স্বপ্নে দেখিতে পাইলেন যে, পার্থসারথি শ্রীকৃষ্ণ তাঁহার শিরঃপার্শ্বে পদার্পণ করিয়া তাঁহাকে অভয় প্রদান করিয়া বলিলেন “তোমার কোনও ভয় নাই, তুমি আবার