পাতা:গল্পকল্প - পরশুরাম.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তিন বিধাতা

 ব্রহ্মা। হাঁ হে, তুমি নাকি ইদং কাননে গিয়ে হবা আর আদমকে নষ্ট করেছিলে?

 বাসুকি তাঁর চেরা জিব কামড়ে বললেন, ছি ছি, তা কখনও পারি? ভুল শুনেছেন প্রভু। যদি অভয় দেন তো প্রকৃত ঘটনা নিবেদন করি।

 ব্রহ্মা। অভয় দিলাম। তুমি ব্যাপারটা প্রকাশ ক’রে বল।


বাসুকি বলতে লাগলেন।—সে কি আজকের কথা। সমুদ্রমন্থনের পর আমার সর্বাঙ্গে অত্যন্ত বেদনা হয়েছিল। দুই অশ্বিনীকুমারকে জানালে তাঁরা বললেন, ও কিছু নয়, হাড় ভাঙে নি, শ‍ুধু মাংস একটু থেতলে গেছে; দিন কতক হাওয়া বদলে এস, সেরে যাবে। তখন আমি পৃথিবী পর্যটন করতে লাগলুম। বেড়াতে বেড়াতে একদিন তৌরস পর্বতের পাদদেশে এসে দেখলুম উপরে একটি চমৎকার উপবন রয়েছে। ঢোঁড়া সাপের র‍ূপ ধ’রে পাহাড়ের খাড়া গা বেয়ে সড়সড় ক’রে উপরে উঠলুম। দেখলুম দুটি নরনারী সেখানে বন্দী হয়ে আছে। তারা একবারে অসভ্য, কিছুই জানে না, লজ্জাবোধও নেই। দেখে আমার দয়া হ’ল। মেয়েটির কাছে গিয়ে মধুর স্বরে বললাম, অয়ি সর্বাঙ্গসুন্দৱী, তুমি কার কন্যা, কার পত্নী? তোমার পরনে কাপড় নেই কেন? চুল বাঁধ নি কেন? নখ কাট নি কেন? গলায় হার পর নি

৯৭