পাতা:গল্পকল্প - পরশুরাম.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তিন বিধাতা

 — দুত্তোর বারণ। বুড়োদের কথা সব সময় শ‍ুনতে গেলে কিছুই খাওয়া হয় না। আমি বলছি, তুমি এক কামড় খেয়ে দেখ।

 —যদি আক্কেল খুলে যায়?

 —কোথাকার ন্যাকা মেয়ে তুমি! আক্কেল তো খোলাই দরকার, চিরকাল উজবুক হয়ে থাকতে চাও নাকি? নাও, এই দুটো ফল পেড়ে দিচ্ছি, একটা তুমি খাও, আর একটা ওই জংলী ভূত আদমকে খাওয়াও।

 হবা নিজে বড় ফলটা খেয়ে ছোটটা আদমকে দিলে। তার পরেই জিব কেটে ছুটে পালাল। একটু পরে একটা ডুমরপাতার ঝালর প’রে ফিরে এসে বললে, এইবার কেমন দেখাচ্ছে আমাকে?

 — বাঃ, অতি চমৎকার, কোথায় লাগে উর্বশী রম্ভা মেনকা।

 হবা ঠোঁট ফুলিয়ে চোখ কুচকে বললে, আমার হার নেই, চুড়ি নেই, চির‍ুনি নেই, আলতা নেই, ঠোঁটে দেবার রং নেই —

 বললুম, সব হবে, ওই আদমকে বল।

 আরও ঠোঁট ফুলিয়ে হবা বললে, ও বিশ্রী, কিচ্ছু দেয় না, ওর কিচ্ছু নেই। তুমি দাও, আমি তোমার কাছে থাকব, হ‍ুঁ—

 বললুম, আমি ওসব কোথায় পাব? ওর হাত পা আছে, আমার তাও নেই। সাপের সঙ্গে তুমি ঘর করবে কি ক’রে? আমার আবার পঞ্চাশটা সাপিনী আছে, তোমাকে দেখেই ফোঁশ ক’রে উঠবে। ভাবনা কি খুকী, তোমার বরের কাছে গিয়ে

৯৯