পাতা:গল্পকল্প - পরশুরাম.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গল্পকল্প

স্থবিরের হাত ধ’রে তাঁকে এক কোণে বসিয়ে দিয়ে বললে, হালদার মশায়, আপনাকে এখন একট; কষ্ট সইতে হবে। ঘণ্টা তিন চার পরেই লোক ক’মে যাবে, তখন আপনার বিছানা পেতে দেব।

 বুদ্ধ হালদার মশায় বললেন, আমার জন্য ব্যস্ত হয়ো না শরৎ। বয়স হলেও তোমাদের চাইতে শক্ত আছি। দাঁত নেই, কিন্তু এখনও একটি আস্ত ইলিশ মাছ হজম করতে পারি।

 তারকবাবু বললেন, বাঃ, আপনি মহাপুরুষ। বড্ড ভিড়, নইলে আপনার পায়ের ধুলো নিতুম হালদার মশায়।

 হালদার খুশী হয়ে বললেন, তবে বলি শোন। মুঙ্গের জেলায় খরকপুরে থাকতে দু বেলায় একটি আস্ত পাঁঠা সাবাড় করতুম। চার আনায় একটি নধর বকড়ি, আবার তার চামড়া বেচলে পুরোপরি চার আনাই ফিরে আসত। একবার একটি সিকি খরচ করলে ক্রমান্বয়ে পাঁঠার পর পাঁঠা মুফ‍্তে পাওয়া যেত। ভারী লোভ হচ্ছে, নয়? এখন আর সে দিন নেই রে দাদা। ষাট বৎসর আগেকার কথা।

 গার্ডের বাঁশি ফুরর ক’রে বেজে উঠল। একজন প্রকাণ্ড পুর‍ুষ দরজা খুলে ঢুকে পড়লেন। হরিহরবাবু বললেন, আর জায়গা নেহি হ্যায়, দুসরা কামরায় যাইয়ে।

 গাড়ি চলতে লাগল। আগন্তুকের বয়স চল্লিশ পঁয়তাল্লিশ, বৃষকন্ধ শালপ্রাংশু, কালবৈশাখীর মেঘের মতন

১৩৬