—না হুজুর, মুরগির পেটে সমস্ত জিনিস ভ’রে দিয়ে সেলাই ক’রে হাঁড়ি-কাবাবের মতন পাক করতে হয়, সুসিদ্ধ হয়ে গেলে মুরগি কুচো চিংড়ি কচুর শাগ দই আর সমস্ত মসলা মিশে গিয়ে এক হয়ে যায়। খেতে যা হয় সে আর কি বলব হুজুর।
রাজাবাহাদুর এবারে আর সামলাতে পারলেন না, খানিকটা নাল টেবিলে প’ড়ে গেল। একটু লজ্জিত হয়ে রমাল দিয়ে মছে ফেলে বললেন, ওহে রাইচরণ, উত্তম সর-ভাজা খাওয়াতে পার?
—হুজুরের আশীর্বাদে কি না পারি? সর-ভাজার রাজা হ’ল গোলাপী গাইদুধের সর-ভাজা, নবাব সিরাজউদ্দলা যা খেতেন। কিন্তু দশ দিন সময় চাই মহারাজ, আর শখানিক টাকা খরচা মঞ্জুর করতে হবে।
—গোলাপী রঙের গরু হয় নাকি?
—না হুজুর। একটি ভাল গরুকে সাত দিন ধরে সেরেফ গোলাপ ফুল, গোলাপ জল আর মিছরি খাওয়াতে হবে, খড় ভূষি জল একদম বারণ। তার পর সে যা দুধ দেবে তার রং হবে গোলাপী আর খোশবায় ভুর ভুর করবে। সেই দুধ ঘন করে তার সর নিতে হবে, আর সেই দুধ থেকে তৈরী ঘি দিয়েই ভাজতে হবে। রসে ফেলবার দরকার নেই, আপনিই মিষ্টি হবে—গরু মিছরি খেয়েছে কিনা। সে যা জিনিস,
৩৮