কিষান-মজুদরকে কুমন্ত্রণা, বোকা ছেলেমেয়েদের মাথা খাওয়া, পিস্তল, বোমা—
মহাবীর। থাম থাম। কি চাও তাই বল।
অবধবিহারী। হামি বোলছি, শুনেন মহাবীরজী।— চারো তরফ ঘূস-খবৈয়া, সব মুনাফা ছিনিয়ে লিচ্ছে। বড় কষ্টে রহেছি, যেন দাঁতের মাঝে জিভ। বিভীখনজী জৈসা বোলিয়েছেন—
সুনহু পবনসুতে রহনি হমারী।
জিমি দসনন্হি মহু জীভ বিচারী॥
প্রভু, এক মুক্কা মার কে ইয়ে সব দাঁত তোড়িয়ে দেন।
কবিরত্ন। তুমি একটু চুপ কর তো বাপ। মহাবীরজী, আমরা কেবল রামরাজ্য চাই, তা হ’লেই সব হবে। সাধুদের পরিত্রাণ, দুষ্কৃতদের বিনাশ, প্রজার সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল।
কানাই। পণ্ডিত মশাই, ব্যস্ত হ’লে চলবে না, রাষ্ট্রশাসনের ভার কদিনই বা আমরা পেয়েছি। মহাবীরজীর কৃপায় যদি দেশদ্রোহীদের জব্দ করতে পারি তবে দেখবেন শীঘ্রই কিষান-মজদার-রাজ হবে।
কবিরত্ন। কিষান-মজদুর সেক্রেটেরিয়েটে বসে রাজকার্য চালাবে?
ভুজঙ্গ। শোনেন কেন ওসব কথা, শখ, ভোট বজায় রাখবার জন্য ধাপাবাজি।
৬৬